কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হবে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৪, ০৫:৪৭ পিএম

দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। এবার শোলাকিয়ায় ১৯৭তম পবিত্র ঈদুল আজহার বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এবারো নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শোলাকিয়ার জামাত আয়োজন করা হয়েছে।

জানা যায়, সকাল ৯টায় ঈদের জামাত শুরু হবে। এতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। তার বিকল্প হিসেবে থাকবেন বড় বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা মো. শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।

ঈদ জামাতে জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু সঙ্গে না আনতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে জামাতের জন্য ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ১৯৭তম ঈদের জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ২০১৬ সালের ৭ জুলাই শোলাকিয়া ঈদগাহের অদূরে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। তা মাথায় রেখে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোলাকিয়া মাঠকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে। এজন্য পুলিশসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করবে। পাশাপাশি বিজিবি, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক চৌকস দল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।

মাঠের ফটকে মেটাল ডিডেকটর দিয়ে তল্লাশি করে মুসল্লিদের প্রবেশ করানো হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব কিছু করা হবে। মোবাইল ফোন ও ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না।

এদিকে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ- কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস‍‍` নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।

শোলাকিয়া এক্সপ্রেস- ১ ভৈরব থেকে ছাড়বে সকাল ৬টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে সকাল ৮টায়, আবার কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায় ভৈরব পৌঁছবে দুপুর ২টায়।

শোলাকিয়া এক্সপ্রেস- ২ ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে সকাল পৌনে ৬টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে সকাল সাড়ে ৮টায়, আবার কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায় এবং ময়মনসিংহে পৌঁছবে বেলা ৩টায়।

স্থানীয়দের মতে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় সোয়া লাখিয়া, এরপর ধীরে ধীরে সেই ‘সোয়া লাখিয়া’ পরিচিত হয়ে ওঠে শোলাকিয়া নামে।

ইএইচ