ভোলার চরফ্যাশনে জমি দখলে বাধা দেওয়ায় দুই নারী সহ ৫ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী নুরনবী মাতাব্বর ও তার দলবলের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার(২০ জুন) বিকাল ৪ টার দিকে দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড মফিজ মিস্ত্রি বাড়ির সমানে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদেরকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতরা হলেন- মফিজ মিস্ত্রির ছেলে রফিজল (৫০), মুনাফ মাঝির ছেলে সোহাগ (৩৮), মাহে আলম মিস্ত্রির স্ত্রী বিবি জহুরা (৪০), ও মেয়ে খাদিজা (২৫), ছেলে শাহিন (২৮)।
এ ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে দক্ষিণ আইচা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আহতদের স্বজন মুনাফ মাঝি বলেন, একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তজল মাতাব্বরের ছেলে নুরনবী জোরপূর্বক আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে আসছেন। সে দীর্ঘদিন ধরে জমি দখল নিতে আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। হটাৎ বৃহস্পতিবার বিকালে প্রভাবশালী নুরনবী ও তার দলবল নিয়ে ফের জমি দখলের চেষ্টা করেন এসময় আমার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে নুরনবী মাতাব্বর সহ তার দলবল আমার পরিবারের নারী সহ ৫ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করেন। আমি প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
আহত মাহে আলম মাঝি জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে তজল মাতাব্বরের ছেলে নুরনবী তার লোকজন জসিম, আলআমিন, সজিব, আলাম, আমজাত, ইউসুফ সহ ৮-১০ জনকে নিয়ে আমাদের জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করা সহ দখল করতে আসেন। এ সময় আমরা তাদের বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরমানিকা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুনাফ মাঝি গংরা ১ একর ৫০ শতাংশ জমি বন্দবস্ত ও রেকর্ড সূত্র মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ভোগদখল সহ চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৪০ শতাংশ জমি নিয়ে একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তজল মাতাব্বরের ছেলে নুরনবীর সাথে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে প্রভাবশালী নুরনবী মাতব্বর দল বল নিয়ে ওই জমি দখল নিতে আসলে মুনাফ মাঝির পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে তার পরিবারের দুই নারী সহ ৫ জনকে বেধড়ক মারধর করেছেন নুর নবী ও তার দলবল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশি বৈঠক করেও কোনো সমাধান হয়নি। এবং চরফ্যাশন আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
স্থানীয় ফিরোজ মিয়া জানান, দীর্ঘ দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। জমির প্রকৃত মালিক মুনাফ মাঝি গংরা। জমি তাদের আওতায় থাকার পরেও জোর করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে আসছেন প্রতিপক্ষ নুরনবী গংরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরনবী মাতাব্বরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমার পক্ষের ৪জন আহত হয়েছে। তাদেরকে চরফ্যাশন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
দক্ষিণ আইচা থানার বর্তমানে ওসির দায়িত্ব থাকা সেকেন্ড অফিসার আব্দুল খালেক জানান, এ ঘটনায় মুনাফ মাঝি গংরা থানায় একটি মামলা করেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিআরইউ