কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর উত্তর তীরের ভাঙনে মুখে শতাধিক বসতভিটা। প্রতিবছরে বর্ষা মৌসুমে তিস্তার তীব্র ভাঙনে তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন বাস্তুচ্যুত পরিবার ,দীর্ঘ হচ্ছে দরিদ্রতার সংখ্যা।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তিস্তার তীরবর্তী বসবাসকারী সিদ্দিকুর রহমান, সুবাস চন্দ্র, সুকুমার রায়, বানেশ্বর, নিবারণ, যতিশ, আনোয়ার মিয়া, ফজলুল হক নিরাপদ স্থানে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।
ঘরবাড়ি আসবাবপত্র সরিয়ে নিলেও ভাঙন থেকে শেষ রক্ষা নেই বসতভিটার। এছাড়াও তিস্তার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বুড়িরহাট স্পার বাঁধ, বুড়িরহাট বাজার, কালীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নামাভরাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, জনবসতিপূর্ণ এলাকাসহ কৃষি আবাদি জমি।
উপজেলার বিদ্যানন্দ কালীরহাট এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর নিবারণের স্ত্রী বিভা রানী বলেন, পরম যত্নে সাজানো সংসার তিস্তার ভাঙনে মুহূর্তেই এলোমেলো হয়ে যায়, নদী ভাঙছে। বাড়ি নাই, ঘর নাই। হামার একটেও জায়গা নাই। মানুষের বাড়িত যাবার নাগছি। ছাগল-গরু সব মানুষের বাড়িত থোয়া নাগবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘তিস্তায় ভাঙন চলছে। বিদ্যানন্দের কালিরহাট বাজারের ভাটির দিকে ভাঙনের তীব্রতা বেশি। মন্ত্রী মহোদয়কে (পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী) বিষয়টি জানানোর পর প্রতিরক্ষা কাজের অনুমতি পাওয়া গেছে। আমরা আপাতত ২০০ মিটার স্থানজুড়ে জিও ব্যাগ ফেলবো। দু-একদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
ইএইচ