কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় শহর বিএনপির সভাপতিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া শহর থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ (৬৫), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম রিন্টু (৪৫), সদর থানা যুবদলের কর্মী সাইদুল ইসলাম (৪০) ও বিএনপির কর্মী যুবরাজ (৪৫)।
শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ৮ জুন (শনিবার) বিকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট সর্দারপাড়া এলাকায় অনুমতি না নিয়ে কর্মসূচির আয়োজন করলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেব আলী বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে ককটেল বোমা হেফাজতে রেখে আত্মঘাতমূলক ও জীবননাশের চেষ্টার অপরাধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার জানান, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকা থেকে কুতুব উদ্দিন, রিন্টু ও সাইদুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর যুবরাজকে শহরের ছয় রাস্তার মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের মধ্যে বিএনপির নেতা রিন্টু মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শেখ সোহেল রানা জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামি বাদে বাকিদের একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে মামলার প্রধান আসামি সাদিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সদর উপজেলার কবুরহাট মিয়াপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
ইএইচ