শেরপুরে ঝিনাইগাতীতে গত ৫ দিনের অবিরাম বর্ষণ ও গত ২ দিনের ভারি বর্ষণের ফলে ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের অধিকার এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ৪ টি নদী ও ৪ টি ঝর্ণা দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ার ফলে নদীগুলির উভয় পাড় ভেঙ্গে ব্যাপক বন্যার দেখা দিয়েছে। এতে বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা, আমন বীজতলার বীজ (চারা) সহ ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
এতে ঝিনাইগাতী সদর উপজেলার সঙ্গে অনেক গ্রাম অঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এছাড়াও হাজার হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য ভারতের মেঘালয় হতে ৪ টি নদী ঝিনাইগাতী উপজেলার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যথাক্রমে মহারশি সমেস্বরি কালঘোষা ও কর্নঝুড়া। উক্ত নদীসমুহ দিয়ে ভারতের মেঘালয়ের বন্যার পানি ও ভারি বর্ষনের ফলে ব্যাপক আকারে বন্যার সৃষ্টি হয়।
যে সমস্ত এলাকার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে, দারিয়ার পাড়, কান্দুলি, কোনাগাও, কালিনগর, চতল, জিগাতলা, দিঘিরপাড়, সুরিহারা সহ আরো বহু এলাকার লোক মানেবতর জীবনযাপন করছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাশাসন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার সহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বিআরইউ