ধনবাড়ীতে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৪, ১০:২৬ পিএম

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দিতে কৃষক আমান আলীকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ হওয়া মামলার তিন মাস পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব টাঙ্গাইল-১৪ সিপিসি ৩ পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার বলারদিয়া গ্রাম থেকে মো. ফরিদ উদ্দিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত আমান আলী উপজেলার মুশুদ্দি উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আয়েত আলীর ছেলে। প্রতিবেশীদের হামলায় আহত হয়ে ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ১১ মার্চ রাতে আমান আলী মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকেই থানা পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা। আদালতে মামলার অভিযোপত্র জমা দিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ তুলেন তারা।

নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আমান আলী মারা গেলে ওই রাতেই ধনবাড়ী থানায় ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন নিহতের চাচা মো. মনিরুজ্জামান।

মামলার আসামিরা হলেন- মো. সবুজ খান, ফারুক খান, রঞ্জু মিয়া, সাইদুর রহমান ও মো. ফরিদ। আসামিরা মুশুদ্দি উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণী ও নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আমান আলীর চাচা মনিরুজ্জামানের ছেলে মেহেদী হাসানের সাথে সাইদুর রহমানের মেয়ে কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেহেদীদের বাড়িতে নিজ ইচ্ছায় চলে আসে সেই মেয়ে।

পরে স্থানীয় মাতবরের মাধ্যমে তাকে সাইদুরের পরিবারে কাছে ফেরত দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদীদের বাড়ির সামনে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাইদুর আমান আলী, সাগর মিয়া ও নাজিমদের উপর হামলা চালায়। হামলাতে আমান আলীসহ ৭ জন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমান আলীকে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থার বেগতিক দেখে চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

ঢাকায় সাতদিন চিকিৎসাধীন থাকার মারা যান আমান আলী। হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধনবাড়ী থানার এসআই আবু বক্কর সিদ্দিক গড়িমসি করছেন অভিযোগ বাদী মো. মনিরুজ্জামান ও নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসীর।

নিহত আমান আলীর স্ত্রী রেজিনা বেগম ও ছেলে মো. শাহাদত হোসেন জানান, আমরা গরিব মানুষ। আমাদের পাশে দাঁড়ানো মত কেউ নেই। দ্রুত হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানাই।

বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আমার সংবাদকে জানিয়েছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মধুপুর সার্কেল) ফারহানা আফরোজ জেমি।

ইএইচ