ভূঞাপুরে যমুনার ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব অসংখ্য পরিবার

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৪, ১১:২২ এএম

কয়েকদিনের পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বর্ষণে টাঙ্গাইলের সকল নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পানি বৃদ্ধির ফলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা পূর্ব পাড়ের নিকরাইল ইউনিয়ন বাহাদুর টুকনা ও পাটিতাপাড়া এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন।  ইতিমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলসহ ও তীরবর্তী নীচু এলাকা। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনা চরাঞ্চল সহ পূর্ব পাড়ের মানুষের মাঝে ভাঙন ও বন্যা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

সরজমিনে দেখা যায়, গত দুই দিনের ভাঙনে যমুনা পূর্ব পাড়ের বাহাদুর টুকনা এলাকার অসংখ্য ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন ভাঙন কবলিত এলাকার লোকজন। বসতভিটা, ঘরবাড়ি হারিয়ে নদী পাড়ে বসে অসহায়ের মতো শুধু চোখের জল ফেলছেন নিঃস্ব হওয়ার এসব পরিবারের লোকজন। নিজস্ব অন্য কোন থাকার জায়গা না থাকায় রাস্তার পাশে উঁচু স্থানে ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া পরিবার গুলো। এছাড়াও যমুনার এমন ভাঙেন হুমকিতে রয়েছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা ও আধ-পাকা সড়ক, গাইড বাঁধ, ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক সড়ক, বসত-বাড়ি, মসজিদ-মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা।

ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী বলেন, গত দুই দিনের ভাঙনে আমাদের এলাকার অসংখ্য ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চোখের সামনে নদীতে বিলীন হচ্ছে আমাদের বসতভিটা। আমরা কিছুই করতে পারছিনা। একদিনের মধ্যে জিও ব্যাগ না ফেললে আমাদের পুরো গ্রাম নদীতে ভেঙে যাবে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা নিকরাইল ইউনিয়নের যমুনা পূর্ব পাড়ের বাহাদুর টুকনায় ভাঙন শুরু হলে সাথে সাথে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানাই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং জিও ব্যাগ ফেলার আশ্বাস দেন।  

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী মামুনুর রশীদ বলেন, যমুনা পূর্ব পাড়ে ভাঙনের খবর পেয়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি, খুব শীঘ্রই ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হবে।

বিআরইউ