হজরত আলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী পদে চাকরি না করলেও তিনি রয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার ভূমিকায়। ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি রয়েছে তার নিয়ন্ত্রণে।
অফিসে ঢুকে অফিসের আলমারি থেকে বিভিন্ন গোপনীয় নথি বের করে দেখছেন, ভূমি অফিসের মূল ভলিয়ম বই দেখে সেবা গ্রহীতাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। তার কার্যকলাপে যে কেউ মনে করবেন তিনি অফিসের কর্মকর্তা (নায়েব)।
পরিচয় গোপন রেখে ভূমি সেবা নেওয়ার নামে সরজমিনে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
মান্দারবাড়ীয়া মাঠপাড়া গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে হজরত আলী অফিসে কর্মরত ব্যক্তিদের সাথে তিনিও কাজ করছেন সমানতালে। বিভিন্ন ফাইল রাখা আলমারি খুলে এক এক সময় এক এক ফাইল দেখা ছাড়াও ভূমি অফিসের মূল ভলিয়ম বই বের করে দেখে সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলছে ও পরামর্শ দিচ্ছেন।
সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি এই অফিসের কেউ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অফিসের কেউ না আমি আমার নিজের কাজে এসেছি বলে তরি ঘড়ি করে অফিস থেকে বেরিয়ে যায়।
মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা শফি উদ্দীন বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, হজরত তার নিজের ব্যক্তিগত কাজে এসেছেন। পরিচিত বিধায় আলমারি থেকে ভলিয়ম বই বের করে রেকর্ড দেখেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন- ভূমিসেবা নিতে আসলে প্রথমে হজরত আলীর সাথে কথা বলতে হয়। মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস চলে তার কথাতে, তিনি যেটা বলবে ওখানকার লোকজন সেটাই করে, তার কথার বাইরে কেউ চলে না। সে বিভিন্ন ব্যক্তির কাজ করে দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাজ করে দিচ্ছে না।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফ শাওন জানান- বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইএইট