মিরপুর ভারল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন দুই সন্তানের জননী।
বুধবার বিকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রামে বিয়ের দাবিতে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন এক নারী।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তার স্বামী একজন প্রবাসী। সে আট বছর সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। আমি আমার স্বামীর বাড়িতে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতাম। দেড় বছর আগে ভারল স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে রঙ নাম্বারের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তা গভীর প্রেমে রূপ নেয়। একপর্যায়ে গত এপ্রিল মাসের ২১ তারিখে সে আমাকে ঝিনাইদহ নিয়ে গিয়ে আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করেন। পরে সে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ও ৪ চার ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়।
বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় এসে গত ১৪ মে সে আমাকে এককভাবে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। এখন আমি দুই কুল হারিয়ে ফেলেছি। আমি বড় অসহায় হয়ে গেছি। যার কারণে বাধ্য হয়ে আমি আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়িতে এসে অবস্থান করছি। হয় আমাকে বিয়ে করবে না হয় আমি এই বাড়িতে আত্মহত্যা করব।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আব্দুল্লাহ আল মামুন অবিবাহিত। আমরা মেয়েটার কথা চিন্তা করে গ্রাম্যভাবে তাদের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে বাসায় পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে তার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার ব্যপারে ছাতিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, এ ঘটনায় মেয়েটি মিরপুর থানায় একটি অভিযোগ করেছিল বলে শুনেছি। তারপরেও সে ইউনিয়ন পরিষদে আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছিল। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই ছেলের পরিবারকে ডেকেছিলাম। পরবর্তীতে ছেলের পরিবার বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনটি ডেট নিয়েছিল। কিন্তু তিন ডেট নিয়েও তারা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে অনুপস্থিত থাকে। সর্বশেষ আজ শুনতে পারলাম মেয়েটি ছেলেটির বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেছে।
ইএইচ