কিশোরগঞ্জে ব্রিজের ওপর কাঁচাবাজার, জনদুর্ভোগ চরমে

আশরাফুল ইসলাম তুষার, কিশোরগঞ্জ থেকে প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম

কিশোরগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বড়বাজার মাছমহল সেতু। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাফেরা করে।

তবে সেতুর দুপাশে প্রতিদিন কাঁচাবাজার বসায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারী ও জনসাধারণের।

বেশকিছুদিন আগে জেলা পুলিশ তথা কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ সেতুর দুপাশের কাঁচাবাজার উচ্ছেদ করে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই যেই লাউ সেই কদু! অর্থাৎ পুনরায় সেতুর দুপাশ দখল করে কাঁচাবাজার বসায় ভাসমান অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। এতে আবারো দুর্ভোগে পড়েছে পথচারী ও জনসাধারণ।

তবে বিকল্প ব্যবস্থা বা বিকল্প স্থানের ব্যবস্থা না হওয়ায় আবারো ভাসমান অস্থায়ী দোকান পেতে বসেছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তাদের বসার অন্য কোন স্থান না থাকায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখানেই সেতুর উপর বিভিন্ন শাকসবজি ও কাঁচাবাজার নিয়ে বসেছে তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড়বাজার এলাকার মাছমহল সেতুর দুপাশে বিভিন্ন কাঁচা শাকসবজির পসরা সাজিয়ে বসেছে ভাসমান অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। এ সময় কথা হয় পথচারী জামিল আহমেদের সাথে।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে পুলিশ এসে তাদের উঠিয়ে দিলেও কদিন পরেই আবার তারা দোকান পেতে বসেছে। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে আমাদের।

অপর এক পথচারী সাগর মিয়া বলেন, সেতুর দুপাশের বাজারের কারণে সেতু দিয়ে চলাফেরা করা দায় হয়ে গেছে।

রিকশাচালক রুবেল মিয়া বলেন, ব্রিজের দুইফাশের বাজারের লাইজ্ঞা এইন্দে (এদিক দিয়ে) রিকশা লইয়া যাইতে খুব কষ্ট অয় (হয়)। জাম (জ্যাম) লাইজ্ঞাই তাহে (থাকে) সবসময়।

এদিকে সেতুর দুপাশের ভাসমান অস্থায়ী কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদেরতো যাওয়ার আর কোন জায়গা নাই। তাই বাধ্য হয়েই এখানে বসেছি। এসব কাঁচামাল শাক সবজি বিক্রি করতে না পারলে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।

এদিকে সেতুর দুপাশের জায়গা আবারো উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।

অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা কিছুদিন পূর্বে সেতুর দুপাশের কাঁচাবাজার উচ্ছেদ করেছিলাম। আবারো তারা বাজার বসিয়েছে। অচিরেই আবার সেতুর দুপাশের বাজার উচ্ছেদ করা হবে।

পৌর মেয়র পারভেজ মিয়া বলেন, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সেতুর দুপাশের ওয়াকওয়ে উদ্ধার করা হবে যেন পথচারী ও জনসাধারণ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে।

ইএইচ