প্রতারণার মামলায় ৩ বিমা কর্মকর্তা কারাগারে

দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে প্রতারণা মামলায় পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দিরাই শাখার ইনচার্জ মো. জামাল হোসেনসহ ৩ কর্মকর্তাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন, কোম্পানির কর্মকর্তা মোছা. হাজেরা বেগম ও গোপেশ পাল।

বৃহস্পতিবার আসামিরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চারক বেগম ইসরাত জাহান জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন কোম্পানির ইনচার্জ মো. জামাল হোসেনহ এই ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা  দায়ের করেন, ভুক্তভোগী গ্রাহক অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান চৌধুরী।

পরে ১৩ জুন সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে দিরাই থানায় ৪০৬/৪২০ ধারা পেনাল কোড অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দিরাই থানার এসআই অনুজ কুমার দাস।

অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৫ জুলাই ১২ বছর মেয়াদি একটি এফডিআর এর জন্য এককালীন নগদ ১ লাখ টাকা জমা দেন গ্রাহক। শাখা ইনচার্জ মো. জামাল হোসেন স্বাক্ষর ও সীল দেয়া একটি রসিদ দিয়ে গ্রাহকের নামে ১৫-৩০ দিনের মধ্যে বিমা কোম্পানি থেকে ফাইল তৈরি হয়ে আসবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু প্রায় ১ বছর পর, এককালীন মোট ১ লাখ টাকার বিপরীতে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ১ লাখ ১ হাজার ৩৩৭ টাকা জমা করা ফাইল (টাকা জমা দেয়ার বই) প্রদান করে বিমা কর্মকর্তা। ভুয়া কাগজ এবং স্বাক্ষর জাল করে ফাইল প্রদান করায় গ্রাহক অ্যাডভোকেট ওয়ায়দুর রহমান চৌধুরীর সন্দেহ হলে তিনি তাদের সাথে ওই বিষয়গুলো নিয়ে বসতে চাইলে বিমা কোম্পানির কর্মকর্তারা টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

পরে ভুক্তভোগী গ্রাহক সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

ইএইচ