বিয়ের দাবিতে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হয়ে অনশনে বসেছেন সূচি আক্তার নামের এক তরুণী। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কে ভাটা পড়ায় উপজেলার চাপারকোনা গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই তরুণী সূচি আক্তার।
বুধবার রাতে ওই নারী বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মোরশেদু নবীর (মহসীন) বাড়িতে এসে অবস্থান নেন।
এ সময় মহসীনের পরিবারের লোকজন তরুণী সূচি আক্তারকে ঘর থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রেমিক মোরশেদূ নবী (মহসীন) উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনা গ্রামের মৃত খোকা মিয়ার ছেলে। সূচি আক্তার উপজেলার পোগলদীঘা ইউনিয়নের পুঠিয়ারপাড় গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী শহীদ মিয়ার বড় মেয়ে।
প্রেমিকা সূচি আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। এরই মধ্যে আমার অন্যত্র বিয়ে হওয়ার ১৭ দিনের মাথায় আমাকে ওই স্বামীর কাছ থেকে এনে উপজেলার ফয়েজের মোড় মহসীনের বন্ধু রবিনের মাধ্যমে জাহানারা বেগম নামে এক মহিলার একটি বাসায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেছি।
এর মধ্যে ২ মাস ধরে বিয়ের করবে বলে ওই বাসায় আসা যাওয়া করলেও বিয়ে পড়াতে গড়িমসি করায় অবশেষে বুধবার রাতে মহসীনের বাড়িতে এসে অনশন দেন ওই তরুণী। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে সূচি আক্তারকে অস্বীকার করে আসছেন মহসীন। পরিবার মেনে নেবে না এমন অজুহাতে মহসীন আমাকে এড়িয়ে চলছেন। এ কারণে আমি বাধ্য হয়ে মহসীনের বাড়িতে স্ত্রীর দাবি নিয়ে এসেছি। আমাদের সম্পর্কের কথা মহসীনের পরিবারের সবাই জানে, তবুও এখন এখন তারা অস্বীকার করছেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরিষাবাড়ী থানার এসআই আব্দুল হান্নান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানতে চাইলে মহসীনের চাচা গাজীয়ার রহমান বিপ্লব মাস্টার জানান, তার ভাতিজার এসব ব্যাপারে তাকে কিছুই জানাননি। তবে বিষয়টি সাব্বির নামে এক নেতার নেতৃত্বে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানার এসআই আব্দুল হান্নানকে পাঠানো হয়েছে। তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিলে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ