শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে জেলা পুলিশের শ্রদ্ধা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৪, ০১:৪১ পিএম

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাতের পূর্বে ঈদগাহের পশ্চিম দিকে আজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন তল্লাশি চৌকিতে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই জঙ্গি হামলায় নিহত দুই পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম ও আনসারুল হক এবং স্থানীয় গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিকের স্মৃতির প্রতি জেলা পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে ঘটনাস্থল চরশোলাকিয়া সবুজবাগ মোড়ে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে নিহতদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়ে ফুল দিয়ে শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার জঙ্গি হামলায় নিহত গৃহবধূ ঝর্ণা রাণী ভৌমিকের বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে তাদের খোঁজ খবর নেয়াসহ সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ আফজল,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোস্তাক সরকার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নূরে আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আল আমিন হোসাইন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মনতোষ বিশ্বাস,জেলা বিশেষ শাখার ডি আইও-১ ইন্সপেক্টর মোমিনুল ইসলাম,কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা,জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির অফিসার ইনচার্জ আবুল বাশারসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নিহতের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) বলেন,শোলাকিয়ায় লাখো মুসুল্লিদের ঈদ জামাতের সমাবেশস্থলে হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।সেদিন পুলিশ জীবন দিয়ে সে হামলা রুখে দিয়েছিলো।

পুলিশ সুপার আরও বলেন,এ হামলায় নিহত ও আহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।

এসময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) জঙ্গি হামলায় নিহত দুই পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম ও আনসারুল হক এবং স্থানীয় গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিকের পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত,২০১৬ সালের ৭ জুলাই শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত ও জামাতের ইমাম মুফতি ফরিদ উদ্দিন মাসউদের ওপর হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জঙ্গিরা চাপাতি, বোমা এবং পিস্তল নিয়ে পুলিশের উপর  হামলা চালিয়েছিল।জঙ্গিরা চাপাতি দিয়ে আনসারুল হক ও জহিরুল ইসলাম নামে দু’জন কনস্টেবলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় ওই বছরের ১৪ জুলাই সন্ত্রাস দমন আইনে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়। ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই পুলিশ তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জঙ্গির বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। বর্তমানে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে।  

বিআরইউ