অসময়ে লাউ চাষ করে সফল সিরাজ মিয়া

পরান আহসান, ভোলা থেকে প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৪, ০৪:২২ পিএম

ভোলা তজুমদ্দিন উপজেলার কৃষক সিরাজ মিয়া অসময়ে লাউ চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন।

চাঁদপুর ডাইয়া পারা গ্রামে মালচিং পদ্ধতিতে তিনি লাউ চাষ করছেন। দেশীয় পদ্ধতিতে কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়া চাষ করে সিরাজ মিয়া ইতিমধ্যে এলাকায় আদর্শ লাউ চাষি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মাচায় ঝুলে আছে অসংখ্য ছোট বড় লাউ। প্রতিনিয়ত সকাল বিকাল চলছে লাউক্ষেত পরিচর্যা। বাজারে বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়ায় সিরাজ মিয়া বেশ খুশি।

এরই মধ্যে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন দেখতে ও পরামর্শ নিতে আসছেন তার কাছে। লাউ চাষ করতে এই পর্যন্ত ২৫ হাজার টাকা খরচ হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন।

তিনি বলেন, এই জমি থেকে আরও প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার লাউ বিক্রি করতে পারব। অসময়ে লাউয়ের চাষ করে এত লাভ হবে, কখনো ভাবিনি। তাই আগামীবার লাউ চাষ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, এই লাউ বিষমুক্ত। কারণ লাউ ক্ষেতে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি।

জানতে চাইলে আমার সংবাদকে জানান, বসতভিটাসহ ৮০ শতাংশ জমি তার সম্পদ। বাড়িসংলগ্ন ওই জমিতে শীতে লাউ চাষ করছি, লাউয়ের দাম কম থাকা তেমন লাভবান হতে পারিনি। এই জমির আয় দিয়ে ছয় সদস্যের সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হতো। তাই কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৫০ শতক জমিতে বর্ষার মৌসুমে এবার লাউ চাষ করছি।

তজুমদ্দিন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা আমার সংবাদকে জানান, লাউয়ের এ রকম ফলন হবে কৃষকেরা আগে বিশ্বাস করতেন না। পরে তাদের হাতে কলমে লাউ চাষ পদ্ধতি শেখানো হয়। এ ছাড়া সার্বক্ষণিকভাবে তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম অবস্থায় কৃষকদের লাউ চাষে আগ্রহী করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু উৎপাদনে সাফল্য দেখে অন্য কৃষক উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ থেকেও কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, সাধারণত শীত মৌসুমে লাউ উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু কৃষি বিভাগের উদ্যোগে উপজেলার ডাইয়াপারা ৫০ শতাংশ জমিতে এবারই প্রথম ডায়না জাতের লাউ চাষ হয়েছে। উপজেলার ১০০ জন কৃষককে এ জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

ইএইচ