বরিশালে প্রতারক গ্রেপ্তার

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম

‘এলিজাবেদ এরিস’ পাঠানো ডলার ভর্তি লাগেজ আনতে গিয়ে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা খুইয়েছেন বরিশাল নগরের এক বাসিন্দা। যে ঘটনায় মামলা দায়েরের ৬ মাস পরে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।

গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ শেখ শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের জব্বার শেখের ছেলে।

রোববার বেলা ১১টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ–কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা।

গ্রেপ্তারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের বরাতে তিনি জানান, গ্রেপ্তার সোহাগ শেখ প্রতারক চক্রের প্রথম স্তরের প্রথম ম্যান। এখানে কমপক্ষে আরও ৪ থেকে ৫টি ধাপে ১০-১২ বা তার অধিক সদস্য রয়েছে। যার মধ্যে দেশের বাহিরে বিদেশেও একটি স্তর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

যারা প্রতিটি স্তরে প্রতারণা আশ্রয় নিয়ে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

মামলার বাদী বরিশাল নগরের বাসিন্দা রত্নেশ্বর মাঝি একজন বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী। গত বছরের ১৯ নভেম্বর তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে খায়রুন নেছা নামে একজন ফোন দেয় এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন কাস্টমস অফিসার হিসেবে নিজের পরিচয় দেয়। এরপর সে রত্নেশ্বর মাঝিকে জানায়, যে তার নামে ‘এলিজাবেদ এরিস’ নামের একজন একটি লাগেজ পাঠিয়েছেন, যার মধ্যে বিপুল পরিমাণে ডলার আছে।

এরপর খায়রুন নেছা নামের ওই নারী বাদীকে বিভিন্ন ভাবে লোভে বশীভূত করেন এবং ডলারগুলো কাস্টমস থেকে ছাড়ানোর জন্য পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পরিমাণের টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে বাদী মাত্র ২৩ দিনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ও বিভিন্ন বিকাশ নম্বরে সর্বমোট ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা প্রেরণ করেন। এরপরেও লাগেজ ছাড়াতে আরও টাকা লাগবে জানালে বাদী বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন।

তখন বাদী কোতয়ালি মডেল থানায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার টিম ঢাকার মতিঝিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। যে অভিযানে সোহাগ শেখকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩৫টি ব্যাংকের ৮৬টি ডিজিটাল ব্যাংক (এটিএম) কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫১টি চেকের পাতা, একটি অ্যানড্রয়েডসহ চারটি মোবাইল সেট ও ৮টি সিমসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

ইএইচ