অবৈধভাবে নিয়োগ নিয়ে সরকারি টাকা তসরুপের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার ১৫ কর্মচারী কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
রোববার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা ও দায়রা জজ মো. আশরাফুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- দিপু দাস পাম্প (অপারেটর), আসাদুজ্জামান (বাজার শাখার আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক), মারুফ বিল্লাহ (সহকারী কর আদায়কারী), বালী শফিকুল ইসলাম (সহকারী কর আদায়কারী), শারমিন আক্তার বনানী (বিল ক্লার্ক, পানি শাখা), মো. হাসান মাঝি (ট্রাক চালক), হাসনা আক্তার (সুইপার সুপারভাইজার), মো. জিলানী (সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (এমএলএসএস), অর্পূব কুমার পাল (পাম্প চালক), নিতাই চন্দ্র সাহা (পাম্প চালক), মোহাম্মদ মেহেদী হাসান (সহকারী পাম্প চালক), সাব্বির মাহমুদ (সহকারী কর আদায়কারী), পারভিন আক্তার (সহকারী কর আদায়কারী)।
তারা সবাই পৌরসভার কর্মী ছিলেন।
দুদকের আইনজীবী মিলন কুমার ব্যানার্জি বলেন, পৌরসভার টাকা মানে সরকারের টাকা। পৌর কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগপ্রত্যাশীরা যোগশাযগে নিয়োগ নিয়ে অবৈধভাবে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা তছরুপ করেছেন। যা অবৈধ। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আসামীরা হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
এদিকে অবৈধ নিয়োগ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক খান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলা রয়েছে।
২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কারাগারে প্রেরণ করা হয় পৌর মেয়র ও সাবেক পৌর সচিব রেজাউল করিমকে। পরে তারা জামিনে মুক্ত হন।
ইএইচ