শিশু জিহাদের হত্যাকারীকে শনাক্ত করলো পিবিআই

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম

ফরিদপুর সদর উপজেলার চরনশিপুর গ্রামের জসীম শেখের পুত্র জিহাদকে (১৪) রাজবাড়ীর কালুখালী থানার গঙ্গানন্দপুর ঈদগাহ মাঠে বালাৎকার করে হত্যা করে ফলে রেখে যায় হত্যাকারী।

পুলিশ হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে না পেরে মামলার তদন্ত করতে পিবিআইয়ের সহায়তা চাইলে দেড় বছরের তদন্তে জিহাদ হত্যার রহস্য উন্মোচন করে।

বুধবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা পিবিআই কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে জিহাদ হত্যার রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকারীর পরিচয় দিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে জিহাদ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থানার হরিণবাড়ীয়া গ্রামে যাওয়ার জন্য রওনা হন। তার নানা বারেক শেখ ৩ তারিখ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জানতে পারে তার নাতির লাশ কালুখালী থানাধীন গঙ্গানন্দপুর ঈদগাহ মাঠে পড়ে আছে। কালুখালী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রস্তুত ও আলামত জব্দ করেন।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মার্গে প্রেরণ করেন। ময়না তদন্তকালে ডাক্তার ডিসিটের গায়ুপথে পুরুষের বীর্যের নমুনা পান এবং ৪টি স্যাম্পল ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণ করেন। জেলা পুলিশ মামলার রহস্য উৎঘাটন করতে না পেরে পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের আবেদন করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, জিহাদ হত্যার তদন্ত ভার পাওয়ার পর আমরা জানতে পারি জিহাদ হত্যার পরের বছর ২০২৩ সালের ঈদুল আজহার দিন কালুখালি সরকারি কলেজ মাঠে শাকিল (১৬) নামে এক যুবক ১০ বছরের এক শিশুকে বলাৎকার করার সময় কলেজের গার্ডের সহায়তায় আটক হন পুলিশের হাতে। এ ঘটনায় আকাশ মন্ডল বাদী হয়ে মামলা করলে শাকিলকে কোর্টের মাধ্যমে গাজীপুর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করে শাকিলের বলাৎকার করার আরও কোন ঘটনা আছে কী না খতিয়ে দেখতে থাকি। সেই সাথে সিআইডরি ফরেনসিকের সহায়তায় শাকিলের ডিএন স্যাম্পল কালেক্ট করে নিহত জিহাদের ময়নাতদন্ত কালে সংরক্ষিত বালাৎকারকারীর ডিএনএ স্যাম্পলের সাথে মেলানো হলে তাতে মিল পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, জিহাদ হত্যার মামলায় শাকিলকে একমাত্র আসামি করে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সেপেক্টর মো. জালাল উদ্দিন সরদারের মাধ্যমে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেওয়া হবে।

ইএইচ