ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ১২৫নং বাইতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধের দুর্নীতি ও অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষা বিভাগ তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
সম্প্রতি সুবিদপুর ইউনিয়নের মজকুনী গ্রামের ১৮ জন বাসিন্দার স্বাক্ষরিত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তের জন্য দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার গৌরনদী উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র হাওলাদার ও বরিশাল সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলে কর্মরত থেকে সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে তার পছন্দের লোকজনকে নিয়ে স্কুলের বিদ্যোৎসাহী কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটির সদস্যদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে লেখাপড়া করে না।
প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জোরপূর্বক কবির হাওলাদারের জমি দখল করে নিয়ে সেই জমির উপর একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করছেন। ওই ভবনের ঠিকাদার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম এর সাথে যোগসাজশে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ করছেন। ঠিকাদারের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়ে স্কুল কমিটির সদস্যদের নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। স্কুলের বিভিন্ন খাতে প্রাপ্ত সরকারি অর্থ তারা প্রধান শিক্ষককে নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করিয়া নেন। স্কুলের কোনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, অর্থ বরাদ্দ শুধু কাগজে কলমে হয়, সমুদয় টাকা সরকারের মন্ত্রী, এমপি, সচিব ও শিক্ষা অফিসারগণকে ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়ে দিতে হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ভিত্তিহীন। যার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে, এগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়ে দিবো।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা বাদী ও বিবাদীদের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নিয়েছি। এর পাশাপশি তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ সংগ্রহ করেছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
ইএইচ