নীলফামারীতে টিআর, কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের আওতায় বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ চিত্র। এসব প্রকল্পের নির্মাণ, পূর্ণঃনির্মান ও সংস্কারের কাজের মাধ্যমে সদর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যপট ক্রমেই বদলাচ্ছে। সংস্কারের মাধ্যমে কাঁচা ভাঙা রাস্তাগুলো হয়ে উঠেছে চলাচলের উপযোগী। পরিণত হয়েছে পাকায়।
সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী-২ (সদর আসন) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও দিক নির্দেশনায় সদর উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র রায়ের তদারকিতে বাস্তবায়ন হয়েছে এসব প্রকল্পের কাজ।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রকল্পের বরাদ্দের চেক প্রকাশ্যে বিতরণ করা হয়েছে। যার ফলে প্রকল্পের কাজগুলোতে এসেছে স্বচ্ছতা।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সাধারণ-বিশেষ মিলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে কাবিটা প্রকল্পে ২ কোটি ১ লাখ ৯৬হাজার ৯৮ টাকা ব্যয়ে ২৬টি প্রকল্প, টিআর -নগদ অর্থ প্রকল্পে এক কোটি ৩৩ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা ব্যয়ে ১৭৮টি প্রকল্প ও কাবিখা প্রকল্পে প্রায় ২৮৪ মেট্রিক টন চাল ও গমের বিনিময়ে বাস্তবায়িত হয়েছে ৪৫টি প্রকল্পের কাজ।
টুপামারী চৌধুরীপাড়া পাকা রাস্তা থেকে মরহুম খোরশেদ চৌধুরীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার আরসিসিকরণ প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, বর্ষাকালে এই রাস্তাটি প্রচুর কাদায় চলাচলে একদম অনুপযোগী হয়ে উঠেছিল। বিষয়টি আমাদের এমপি মহোদয়কে জানালে তিনি এই রাস্তা পাকা করার জন্য বরাদ্দ দেন। আমরা সেই বরাদ্দ দিয়ে সুন্দরভাবে রাস্তার কাজটি সম্পন্ন করি। এছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিয়মিত পরিদর্শনে তো আসতেনই।’
ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ ফকির বলেন, ‘আমি সবার সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি আমাদের ইউনিয়নে মোটামুটি সব প্রকল্পের কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিয়নের কিছু রাস্তা এখনো কাঁচা রয়েছে যেগুলো বর্ষাকালে চলাচলের অনুপযোগী। তাই আমি ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে এমপি মহোদয়ের কাছে অনুরোধ করবো চলাচলের অনুপযোগী ওই সব রাস্তা আরসিসি করণের জন্য বরাদ্দ দিলে যাতায়াত ব্যবস্থায় ওই এলাকাগুলোতে আমূল পরিবর্তন আসবে।’
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান বলেন, আমাদের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামার নূর ভাইয়ের প্রচেষ্টায় নীলফামারীর প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে। টিআর কাবিখা প্রকল্পের কাজগুলো স্বচ্ছতার সাথে শতভাগ সম্পন্ন করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে জনসম্মুখে কোন প্রকল্পে কত বরাদ্দ তা ঘোষণা করে চেক বিতরণ করা হয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে নীলফামারীর উন্নয়ন আরও বেশি করে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র রায় বলেন, ‘সকলের চেষ্টায় সুষ্ঠু সুন্দরভাবে প্রায় শতভাগ কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রকল্পে স্বচ্ছতা আনতে সংসদ সদস্য জনসম্মুখে কোন প্রকল্পে কত বরাদ্দ উল্লেখ করে চেক বিতরণ করেছেন। এছাড়াও নোটিশ বোর্ডে প্রকল্পের নাম ও বরাদ্দ উল্লেখ করেছি যাতে করে জনগণ তাদের এলাকার উন্নয়নে প্রকল্পের বরাদ্দ জানতে পারে।
জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল হক বলেন, আমি এই উপজেলায় যোগদান করেছি কয়েকদিন মাত্র। বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজও পরিদর্শনে গিয়েছিলাম অনেক সুন্দর ভাবে কাজগুলো হয়েছে। এছাড়াও আমাদের সংসদ সদস্য মহোদয় সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিয়ে প্রকল্পের কাজগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে সহযোগিতা করেছেন।
ইএইচ