এমপি রনজিত সরকারের হস্তক্ষেপে নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ

আবু হানিফ, সুনামগঞ্জ প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার নৌপথে একাধিক স্থানে বেপরোয়া চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করলে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট রনজিত সরকারের নজরে আসে এবং জেলা পুলিশসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্রুত চাঁবাদাবাজি বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার কারণে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে বাধ্য হয় চাঁদাবাজরা। এ নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন এমপি রনজিত।

জানা যায়, দীর্ঘ বছর ধরে সাবেক এমপি ও দুর্নীতির বরপুত্র রতনের পালিত বাহিনী নৌপথে চাঁদাবাজি করে আসছিল। বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধ করায় ব্যবসায়ী ও নৌযান শ্রমিকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বালি পাথর ও কয়লা-চুনাপাথর ব্যবসায়ী, নৌ শ্রমিকরা চাঁদাবাজি বন্ধে বার বার পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ বছর আন্দোলনে নামেন ভুক্তভোগীরা এবং চাঁদাবাজি বন্ধে এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন৷

আন্দোলনের খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ-১ আসনের জননন্দিত জনপ্রতিনিধি ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার বিষয়টি আমলে নেন এবং ব্যবসায়ীসহ নৌশ্রমিকদের স্বার্থে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করায় তাহিরপুর থানার ওসিকে সিলেট রেঞ্জে ক্লোজ করা হয় এবং নৌ পথে চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

দুর্লভপুর নৌকা ঘাটের ইজারাদার মোহাম্মদ ওয়াহেদ আলী জানান, আমি চলতি বছর দুর্লভপুর ঘাটটির ইজারা পেয়েছি। টাকা উত্তোলনের জন্য আমাকে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে একটি চার্ট দেওয়া হয়েছে। চার্ট অনুযায়ী আমার লোকজন টাকা উত্তোলন করছে। আমাদের এই আসনের এমপি রনজিত চন্দ্র সরকার আমরা সব ইজারাদারদেরকে ডেকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন চার্টের বাইরে যেনো কোন ধরনের টাকা উত্তোলন না করি।

জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মুশফিকুন নূর জানান, জামালগঞ্জের ফাজিলপুর, দুর্লভপুর ঘাটগুলোতে নিয়ম অনুযায়ী টোল ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন জানান, ডাম্পের বাজার, শ্রীপুর, ঘাগড়া, লাউরেরগড় নৌকাঘাট মামলা সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এসব ঘাটে সরকারি বিধি বিধান অনুযায়ী প্রশাসনের লোকজন দিয়েই খাস কালেকশন করা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার জানান, হাওর বেষ্টিত চারটি উপজেলা নিয়ে আমার নির্বাচনি এলাকা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যর লীলা ভূমিখ্যাত আমার এলাকাটি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। এই প্রাকৃতিক সম্পদকে কেন্দ্র করে টানা ১৫ বছর এই এলাকায় কয়েকটি সিন্ডিকেট মিলে লুটপাটের রাম রাজত্ব কায়েম করেছিল। রাতারাতি অনেকেই কালো টাকার পাহাড় গড়েছেন। ইতোমধ্যেই এসব সিন্ডিকেট আমি ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছি। প্রশাসনসহ সকল হাট, বাজার ও নৌকাঘাটের ইজারাদারদেরকে আমি নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি সকল ঘাটে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে টোল ট্যাক্স আদায় করতে হবে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত টাকা আদায় সহ্য করা হবে না। প্রতিটি ঘাটে  টোল ট্যাক্স আদায়ের চার্ট টানিয়ে রাখতে হবে।

ইএইচ