লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে বিজিবি মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তে হত্যা কোনো মীমাংসা নয়, অবৈধ অনুপ্রবেশ করলে বিএসএফ তাদেরকে গ্রেফতার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা বিচারের আওতায় আনব।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকালে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান নিজ শেখ সুন্দর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে তিস্তা ব্যাটালিয়ন ৬১বিজিবির উদ্যোগে ২৫০ টি বন্যাদুর্গত পরিবারের মাঝে ত্রাণ হিসেবে চাল, ডাল, তৈল, আলু, চিড়া সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
সে সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশি চোরাচালানকারীরা যখন ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভারতীয় বিএসএফ-এর উপর আক্রমণ চালায় তখন বিএসএফ অনেকটা বাধ্য হয়ে গুলি করে। সীমান্তের লোকজন যেন ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ না করে, সে ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তারপরও আমরা বরাবরই ভারতকে বলে আসছি হত্যা কোনো সমাধান নয়। আমরা সীমান্তে হত্যা বন্ধে কাজ করছি এবং প্রতিবাদ করে আসছি।
মাদক প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, যে জিনিসের চাহিদা থাকে, সেটা সেভাবেই সরবরাহ হবে, হাতের কাছে পাওয়া যাবে। সে কারণে আমাদের আগে যুব সমাজকে মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে ধারণা দিতে হবে।
দহগ্রাম-আঙ্গুরপোতা সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গা ভারতে যাচ্ছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই, সে কারণে এমনটি হচ্ছে। তবুও আমরা অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্য চেষ্টা করছি।
এর আগে তিনি পাটগ্রামের পানবাড়ী বিওপি, তিন বিঘা করিডোর ও আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম সীমান্ত পরিদর্শন করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক কর্তৃক ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও পরিদর্শনকালীন বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবির রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদ এবং তিস্তা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম সহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিআরইউ