বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মাননা, ১০ মেন্টরকে ক্রেস্ট ও ২৫ মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম

বরগুনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা, শিশু মেধা বিকাশকেন্দ্র কেন্দ্রিক ১০ জন মেন্টরকে ক্রেস্ট ও ২৫ দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী বৃত্তি প্রদান করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সংগ্রাম।

শনিবার সকাল ১০টায় সংগ্রাম মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চৌধুরী মোহাম্মদ মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মাননা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাইম উল চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা এনজিও ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব মৃধা, পাথরঘাটা ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সংগ্রামের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বেসরকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি জিয়াউল করিম, বিশিষ্ট কবি ইদ্রিস আলী খান, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন মিরাজ, চৌধুরী মোহাম্মদ মাসুম টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য সংগ্রামের নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী মো. মুনীর হোসেন। বিশেষ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বরগুনার সাতজনকে অনুষ্ঠানের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বরগুনা জেলার কৃতি সন্তান, বরগুনা জেলার উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থেকে যিনি বরগুনার এনজিওদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, বরগুনা জেলায় আয়োজিত বিভিন্ন দিবস উদযাপন, উন্নয়ন সংগঠনগুলোর মাঠ পর্যায়ে কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন ও এনজিও কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণে অতন্দ্র প্রহরীর মত কাজ করে যাওয়া এবং উন্নয়নকর্মীদের নৈতিক মূল্যবোধ বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে অবদান রাখা, বরগুনার এনজিওগুলোর মানোন্নয়নে পরামর্শ প্রদান, ভুয়া এনজিও চিহ্নিত ও প্রশাসনের সহায়তায় বরগুনা ছাড়া করে সামাজিক অবস্থান স্থিতিশীল রাখা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব মৃধা।

বরগুনা জেলার ক্রীড়ামোদী শিশুদের ক্রীড়ার বিষয়ে অনুশীলন প্রদান করার মাধ্যমে বহু শিশুকে খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলেছেন, যার অনুশীলনে ও চর্চায় অনেকেই দেশের প্রধান সারির খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য হয়েছেন, এই পেশাকে যিনি কর্তব্য হিসেবে নিয়ে ঝড় ঝঞ্ঝা, শীত, বর্ষা উপেক্ষা করে শিশুদের নিজ সন্তানের মত খেলায় পারদর্শী করেছেন, স্বাধীনতাপূর্ব শিক্ষিত একজন মানুষ হয়েও সরকারি চাকরিতে যোগদান না করে শিশুদের খেলোয়াড় তৈরির আত্মোৎসর্গ করেছেন মীর বজলুর রহমান।

বরগুনার শিশুর মানোন্নয়নে এবং মেধা বিকাশে সিবিডিপি এনজিওর মাধ্যমে ব্যাপক কাজ করেছেন, বিভিন্ন সংগঠনের মাধা শিশুদের মেধা বিকাশে সচেষ্ট থেকে বহু শিশুকে দেশের সম্মানজনক অবস্থানে অভিষিক্ত করেছেন, জীবন একটি উৎকর্ষময় সময় ধরে যিনি সৎ সাংবাদিকতা করে বরগুনায় যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন, যিনি নিজে কিশোরদের জীবন জয়ের গল্প গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন, বরগুনার আদর্শ সংবাদকর্মী, ঘূর্ণিঝড়ের অতন্দ্র প্রহরী জাকির হোসেন মিরাজ।

বরগুনা জেলার শিশুদের কণ্ঠ শিল্পী হিসেবে করার প্রত্যয় নিয়ে যিনি বহু বছর ধরে তার প্রতিষ্ঠিত সৃজনী সঙ্গীত অ্যাকাডেমির মাধ্যমে অত্যন্ত সফলতার শিল্পী করে যাচ্ছেন, যিনি বরগুনায় এবং দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নামি শিল্পী উপহার দিয়েছেন, বাংলাদেশ বেতার, রেডিও সহ বহু প্রচার মাধ্যমে সংগীত পরিবেশন করে যথেষ্ট ব্যুৎপত্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন, যার গীত রচনা, সুরারোপ, কণ্ঠের দাপট বরগুনার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল আরো সমৃদ্ধ করেছেন বাবুল কৃষ্ণ সাহা।

দক্ষিণ জনপদের চারণকবি এবং গীতিকার, লেখনী শৈলী, কাব্যময়তা, সাগর পাড়ের মানুষের সংগ্রামী জীবনের প্রতিচ্ছবিকে উন্মোচন করে ব্যাপক কবিতা সৃষ্টি করেছেন, সংগ্রাম সঙ্গীদের রচয়িতা কবি ইদ্রিস আলী খান।

২০২৪ সালে বরগুনা জেলায় শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই সাথে দুটো অর্জন, সৈয়দ ফজলুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মো. জিয়াউল করিম।

পাথরঘাটার কৃতি সন্তান, বরিশাল বিভাগে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান, চৌধুরী মাসুম টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ মো. ফারুক হোসেন।

এছাড়াও সংগ্রাম বাস্তবায়িত কৈশোর কর্মসূচির ক্লাবসমূহ থেকে মনোনীত ১০ জন মেন্টর যারা সুপরামর্শ দিয়ে মেধা ও মননে, নৈতিক মূল্যবোধ ও সামাজিক কাজে কিশোর-কিশোরীদের উদ্বুদ্ধ করানোর জন্য দশ জনকে সেরা মেন্টর হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জেলার ২৫ জন দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ২৫ শিক্ষার্থীকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করে চেক প্রদান করা হয়।

ইএইচ