খাগড়াছড়ির পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র (আলিম) মাদরাসায় অবৈধ পন্থায় সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাদরাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদ, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
শনিবার বেলা ২টার দিকে মাদরাসা গেটে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
নিজেদের প্রাণের বিদ্যাপীঠের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও অবৈধ পন্থায় সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগ বাতিলের এই মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে সাবেক শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া সকলের দাবি আলিম শাখাকে গোপন করে দাখিলের অবৈধ সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগ যেন দ্রুত বাতিল করা হয়। না হয় সামনে আরো বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এতে বক্তব্য দেন- সাবেক শিক্ষার্থী মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মোফাজ্জল হোসেন, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. আমিনুল বশর, মো. ফজলুর রহমান, আসিফ করিম, মো. জালাল হোসেন।
বিভিন্ন মোবাইল কল রেকর্ডিংয়ের সূত্র ধরে মাদরাসায় অবৈধ পন্থায় সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগের বিষয়টি পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠে।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক প্রতিনিধি হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মুঈনীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল ফারাহ মুহাম্মদ ফরিদুদ্দিন জানান, পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে খাগড়াছড়ি মাদরাসায়।
সুপারিনটেনডেন্ট পদে আবেদনকারী দীঘিনালা উপজেলার রশিকনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মো. আনিছুর রহমান জানান, তিনি অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া সাবেক মাদরাসা সুপার মাওলানা আবুল কাশেমের ভাড়া করা মাইক্রোতে চড়ে হাটহাজারী গিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তার আবেদনের সাথে দেয়া ব্যাংক ড্রাফটিও আবুল কাশেম নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
পানছড়ি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অরুপ চাকমা জানান, নিয়োগ পরীক্ষায় সরেজমিনে তিনি উপস্থিত ছিলেন না তবে সম্মতি ছিল। যা বলার তিনি মোবাইলে বলে দিয়েছেন।
কিন্তু ডিজির প্রতিনিধি বলেন, শিক্ষা অফিসার নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন। এসব নানান নাটকীয়তায় অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি সবার নিকট পরিষ্কার হয়।
ইএইচ