পদ্মা সেতু এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায়-দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার বেলা ১০টার দিকে জাজিরায় পদ্মা সেতু সংলগ্ন জমাদ্দার মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার ঘটে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।

এছাড়াও দুপুর ২টার সময় জাজিরার ক্লাবমোড় এলাকায় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রাস্তা ব্লক করে দেয়, জাজিরা থানা পুলিশ ধাওয়া দিলে আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের আন্দোলনকে সমর্থন করে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা বুধবার বেলা ১১টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু সংলগ্ন জমাদ্দার মোড়ে অবস্থান নেয়। যার ফলে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগের সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়।

এক পর্যায়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে আন্দোলনকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ৩০ মিনিট ধরে চলা এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পরে আন্দোলনকারীরা পিছু হটলে সাড়ে ১২টার দিকে সড়কটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ।

এর আগে সকাল ১০ টার দিকে পদ্মা সেতু টোল প্লাজার সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের প্রতিরোধে পিছু হটে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শরীফুল আলম জানান, স্থানীয় ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদের আমরা বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। কোন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া পদ্মা সেতু এলাকায় সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৫টি স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

নড়িয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আহসান হাবিব জানান, সকালে আন্দোলনকারীরা এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার চেষ্টা করলে আমরা তাদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে পাঠিয়ে দেই। পরে ছাত্রলীগের সাথে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। আপাতত ৫টি স্থানে পুলিশের শক্ত অবস্থান রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

ইএইচ