মহম্মদপুরে এক মালদ্বীপ বাজার

বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৪, ০৩:১২ পিএম

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর-নহাটা সড়কের নাওভাঙ্গা এলাকায় অবস্থিত মালদ্বীপ বাজার। দৃষ্টিনন্দিত পাখি ডাকা গাছের ছায়া ও সবুজে ঘেরা এক মনোরম পরিবেশে মালদ্বীপ বাজার গড়ে উঠেছে।

এই বাজারের মানুষের জীবনচিত্র দেখতে হলে আসতে হবে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের নাওভাঙ্গায় গ্রামে মালদ্বীপ বাজারে।

ছোট্ট এই বাজারে রয়েছে সুস্বাদু খাবারের দোকান, ফার্নিচার, ওষুধের দোকান, মুদি দোকানসহ ২০ জন দোকানদার। বর্তমানে মালদ্বীপ বাজারে প্রতিদিন ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন তারা।

নাওভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক বাদশা মিয়া দৈনিক আমার সংবাদকে জানান, এ স্থানে এক সময় ডাকাতি ও দস্যুতা সংঘটিত হতো। এক পর্যায়ে নাওভাঙ্গা গ্রামের লোকেরা উদ্যোগ নিয়ে তৎকালীন সময়ে ওই গ্রামে আব্দুল গণি শেখ নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসে ওই ফাঁকা স্থানে উঁচুতে একটি দোকান বসিয়ে দেন। পরে আস্তে আস্তে দোকানের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।

৫ বছর আগে মালদ্বীপ বাজারের প্রথম দোকানদার আব্দুল গণি শেখ মৃত্যুবরণ করেন। পরে পিতার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং পরিবারের হাল ধরতে, গণি শেখের ছেলে ও তার স্ত্রী চা-বিস্কুট, সিঙ্গাড়া বিক্রয় করে জীবন জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছে।

১৫ বছর হতে যাচ্ছে মালদ্বীপ বাজারের সূচনা ঘটেছে।

মালদ্বীপ বাজার নামকরণের পূর্বে ২ কিলোমিটারের রাস্তার দুপাশে তখন কোনো বসতি ছিল না। মানুষ শুধু   জমিতে চাষ করতেন।

স্থানীয় নদের চাঁদ চৌকিদার বাজারের দুই প্রান্তে ২টি রেন্টি গাছ লাগিয়ে ছায়াঘেরা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করেন।

আরও জানা যায়, ওই গ্রামের শিহাব শেখ নামের এক ব্যক্তি মালদ্বীপ রাষ্ট্র থেকে বাড়িতে ফিরে এসে ওখানকার মানুষের জীবন চিত্রের গল্প ও মালদ্বীপ সম্পর্কে বর্ণনা দেন। এক পর্যায়ে তৎকালীন সময়ে রুহুল মেম্বার মালদ্বীপের গল্প শুনে মালদ্বীপ বাজার নাম দিয়ে একটি সাইনবোর্ড নিজ উদ্যোগে তৈরি করে টানিয়ে দেন।

তারপর থেকে এ বাজারটি এখন মালদ্বীপ বাজার নামে পরিচিতি অর্জন করেছে। উপজেলার নাওভাঙ্গা, রাড়ীখালী ও বনগ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মালদ্বীপ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয়-বিক্রয় করতে আসেন।

ইএইচ