বাগেরহাটে নৈশ প্রহরী নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৬ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে নৈশ প্রহরী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার দুপুরে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন মো. আজগর মীর নামের এক ব্যক্তি।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গেল ১৩ জুলাই তাফালবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজে নৈশ প্রহরী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম খান ৬ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে মো. রুবেল মুন্সী নামের এক ব্যক্তিকে নৈশ প্রহরী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এমনকি পরীক্ষার সময় মো. রুবেল মুন্সিকে ৮-১০টি প্রশ্নের উত্তর বলে দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম খান।

এর আগেও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অফিস সহায়ক পদে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক। যা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে।

অভিযোগকারী শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. আজগর মীর বলেন, আমার ছেলে মো. রাকিব মীরসহ আরও কয়েকজন নৈশপ্রহরী পদে আবেদন করেছিল। টাকার বিনিময়ে আমার ছেলেকেও নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল তারা। কিন্তু টাকা দিতে না পারায়, আমরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, নৈশ প্রহরী হিসেবে নিয়োগ পেতে মো. রুবেল মুন্সী নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের জন্ম তারিখও পরিবর্তন করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী মো. রুবেল মুন্সী‘র আসল জন্ম তারিখ ১৭ মে ১৯৮৫। কিন্তু এই চাকুরি পেতে তিনি তার জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ১৭ মে ১৯৯০ করেছেন। বিষয়গুলো তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. আজগর মীর।

নিয়োগপ্রাপ্ত নৈশপ্রহরী মো. রুবেল মুন্সি বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে আমি কাউকে কোন টাকা পয়সা দেই নাই। যারা নিয়োগ পায়নি, তারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়া জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ভুল থাকায় সংশোধন করা হয়েছে, শুধু আমার নয়, পরিবারের দুই-তিনজনের জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ সংশোধন করা হয়েছে।

মো. আজগর মীরের অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় বলেন, নিয়ম মেনে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। কোন প্রকার অনৈতিক লেনদেন হয় নাই।

এর আগে অফিস সহায়ক নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, নিয়োগ হলেই অভিযোগ করার জন্য একটা শ্রেণি বসে থাকে। নিয়োগ পায় একজন, অন্য পরীক্ষার্থীরা থাকেন অভিযোগ করার জন্য।

বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস.এম ছায়েদুর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

ইএইচ