ফেনীতে ৭ হেক্টর জমিতে কোটি টাকার ড্রাগন চাষের সম্ভবনা

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম

ফেনীতে ৭ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষ করা হয়েছে। বিদেশি এই ফলটি চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন জেলার শিক্ষিত বেকার তরুণ উদ্যোক্তারা। স্থানীয় কৃষি বিভাগও দিচ্ছে পরামর্শ ও সহায়তা। উৎপাদন বাড়ায় ফলটির দামও এখন সাধারণের নাগালে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এক সময় প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ফলটির দাম নেমে এসেছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়।

জেলার কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় চলতি মৌসুমে ৭ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের চাষাবাদ হয়েছে। গত এক বছর আগেও আবাদ হয়েছিল মাত্র ৫ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হচ্ছে ৭ দশমিক ৯০ মেট্টিক টন ড্রাগন ফল।

কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় চলতি মৌসুমে ড্রাগন ফলের ৫৫ দশমিক ০৭ মেট্টিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গড়ে ২০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হলেও চলতি মৌসুমে এক কোটি ১১ লাখ টাকার ড্রাগন ফল আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর মধ্যে জেলার শহরতলীর জান্নাত অ্যাগ্রোতে ৪ একর জমিতে এই ফলটির চাষাবাদ করেছেন স্থানীয় তিন বন্ধু। ৯ মাস আগে গাছ রোপণের পর পরিচর্যা ও যত্নের পর এরই মধ্যে তাদের গাছগুলোতে ভালো ফলনও আসতে শুরু করেছে।

চাষিরা বলছেন, সব মিলিয়ে লাখ খানেক টাকা খরচ হলেও এ বিনিয়োগে তারা দুই থেকে তিন গুণ লাভের আশা করছেন। এছাড়া ড্রাগন গাছ একবার লাগালে তা থাকে বেশ কয়েক বছর। সে হিসেবে এটি তাদের স্থায়ী বিনিয়োগ। ক্রেতাদের কাছ থেকেও পাচ্ছেন দারুণ সাড়া।

উদ্যোক্তা তোফায়েল আহমেদ রনি বলেন, আমরা ড্রাগনের বাগান নিয়ে বেশ আশাবাদী। চাষাবাদের পর গাছে ফলনও এসেছে। মানুষ দূরদূরান্ত থেকে বাগান এসেই ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

জেলার দাগণভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের বিসমিল্লাহ অ্যাগ্রোতে ৪০ শতক জমিতেও আবাদ করা হয়েছে এ ফলের। ইতোমধ্যেই ওই বাগানেও আসতে শুরু করেছে ফলন। ভালো ফলনে সন্তোষ প্রকাশ করে ওই খামারিরা বলেন, প্রথম বছরেই দেড়শো কেজির মতো ফলন এসেছে। আগামী বছর থেকে আরও বাড়ার আশা করছেন তারা।

শুধু এ দুটি স্থানে নয়, জেলার আরও প্রায় ৫০টিরও বেশি স্থানে স্বল্প ও মাঝারি পরিসরে ফলটির আবাদ হচ্ছে। চাষিরাও এ ফলটি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। অপরদিকে ক্রেতারাও কমদামে ফলটি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন।

স্কুল শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বিদেশি ফল ড্রাগন এক সময় আমরা কেজি প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়ও কিনেছি। এখন বাজারে দাম কমেছে। এটা সম্ভব হয়েছে তরুণ উদ্যোক্তারা ফলটি আবাদে আগ্রহী হওয়ার কারণে।

দাগনভূঞা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চাষি ও উদ্যোক্তাদের পরামর্শসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করেন তারা।

ইএইচ