গাংনীতে পাট জাগ (পচন) দেয়া নিয়ে বিপাকে কৃষক

মো. সাইদ হাসান (মেহেপুর) গাংনী প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় এবার কৃষি অফিস হিসাব মতে ৮৮২০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৬ হাজার হেক্টর কম,কৃষি অফিস বলছে অনাবৃষ্টির কারণে এবার অনেক পাট চাষি পাট চাষ করেছে কম। যে জমিতে পাট চাষ, সেই জমিতে পাট জাগ (পচন) দিচ্ছে পাট চাষিরা। কারণ ভরা বর্ষা মৌসুমে কোন বৃষ্টি নাই যার ফলে খালে বিলে নদী নালাতে পানি নাই। কৃষক পাট কেটে বোরো ধান লাগাবে কিন্তু পাট জাগ (পচন) দেওয়ার জন্য জায়গা না থাকার কারণে পাট কাটতে পারছে না।তাই কৃষকরা পড়েছে বিপাকে।

নওয়াপাড়ার কৃষক রকিবুল হাসান বলেন, আমি দুই বিঘা পাট চাষ করেছি কিন্তু এখন পড়ে গেছি বিপদে কারণ পাট কেটে ধান লাগাবো কিন্তু পাট কেটে জাগ(পচন) দিবার মত কোন পানি আছে এমন কোন জায়গা নাই যার করনে পাট কাটতে পারছিনা। এখন আমাদের একটায় উপায় আছে নিচু জায়গা যেখানে আছে সেখানে চারিদিকে পলিথিন দিয়ে ঘিরে স্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিতে হবে এবং পাট জাগ দিতে হবে। তাতে করে প্রচুর পরিমাণে খরচ হবে যা পাট বিক্রি করে লাভ যেমন লোকসানের মুখ দেখতে হবে। 

কালিগাংনী গ্রামের রহিদুল বলেন, আমি দেড় বিঘা পাট চাষ করেছি শুরু থেকে অর্থাৎ পাট বুনা থেকে শুরু করে পাট বিনিয়ে শুকানো পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছে ৩২ হাজার টাকা। আমার পাট প্রায় ১৩ মন হতে পারে, ১৮০০ টাকা মন হলে যার মূল্য ২৩৪০০ টাকা হবে,আমার সকল খরচ বাদ দিয়ে এখন আমি টাকা ঘরে থেকে ভর্তুকি দিতে হবে ৮৬০০ টাকা। সরকার যদি এবার পাটের ভালো দাম দেয় তাহলে হইতো বা আগামীতে পাট চাষ করবো। 

রহিদুল আরো বলেন, আমি নিহাত পরিবারের জ্বালানি খড়ির জন্য এই পাট চাষ করা হয়েছে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইমরান হোসেন বলেন, দেশে চার ধরনের পাট চাষ করা হয়ে থাকে বিজেআরআই আট, তোশা গুটি পাট, জেআরও ৫২৪, ও৯৮৯৭ জাতের পাট। 

তিনি পাট চাষিদের নিচু জায়গায় চারিদিকে পলিথিন দিয়ে ঘিরে পানি দিয়ে পাট জাগ (পচন) দেওয়ার পরামর্শ দেন। 

আরএস