ধামইরহাটে আমন ধান রোপণের ব্যস্ততা

নওগাঁ প্রতিনিধি : প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৪:০১ পিএম

নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় শুরু হয়েছে আমন ধান রোপণের মৌসুম। গ্রাম বাংলার চিরচেনা দৃশ্যের মতো এখানেও মাঠজুড়ে দেখা যাচ্ছে কৃষকদের ব্যস্ততা। বিভিন্ন গ্রামে এখন কৃষকরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এই মৌসুমে প্রত্যাশা অনুযায়ী  বৃষ্টিপাত না হলেও কোন কোন কৃষক গভীর এবং অগভীর নলকূপের পানি সেচ দিয়ে  আমন ধান রোপণের জন্য মাটি তৈরি করে নিয়েছেন বেশ ভালোভাবেই।

সেই সঙ্গে পরবর্তীতে সেচের সুব্যবস্থাও রয়েছে, যা কৃষকদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মোট ২১,০০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ জমিতেই ইতিমধ্যে চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, “এই বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায়  কিছু কিছু জমিতে সেচের ব্যবস্থা ভালো থাকায় আমন ধান রোপণে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। আমরা আশা করছি, এ মৌসুমে ফলন ভালো হবে এবং আমরা লাভবান হব।”

অন্যান্য কৃষকরাও একই ধরনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন, আমন ধানের ফলন ভালো হলে তাদের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়বে এবং ঋণের বোঝা কমবে।

আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ধামইরহাটের স্থানীয় শ্রমিকরাও। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। শ্রমিক ইলিয়াস বলেন, “আমরা প্রতিদিন সকালে এসে কাজ শুরু করি এবং বিকাল পর্যন্ত কাজ করি। বৃষ্টিপাত ও সেচের সুব্যবস্থা থাকায় মাটি খুব ভালোভাবে তৈরি হয়েছে, ফলে রোপণে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি সংকট আছে, সেচ ব্যবস্থা বেশি জরুরি বলে মনে করছি। ”

কৃষক ও শ্রমিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ধামইরহাটে আমন ধানের ভালো ফলন আশা করা হচ্ছে। শ্রমিকদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের আর্থিক অবস্থাও উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. তৌফিক আল জুবায়ের জানান, “আমন ধান রোপণের জন্য কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ এবং সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সঠিকভাবে চাষাবাদ ও রোগবালাই প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা পরিচালনা করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “আমন ধান চাষে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে এবং সময়মতো সার ও সেচ প্রদান করলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। আমরা নিয়মিত কৃষকদের জমি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছি। ইউনিয়ন ভিত্তিক নিযুক্ত উপসহকারী কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তাগণ নিয়মিত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।”


বিআরইউ