কোটা আন্দোলন ঘিরে চট্টগ্রাম আ.লীগের নেতাদের দেখা মেলেনি, মিশ্র প্রতিক্রিয়া নগরজুড়ে

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে চট্টগ্রামে রণক্ষেত্র ও থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।অসহায় হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ থেকে সকল শ্রেণীর মানুষরা। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি আর কখনো হননি নগরবাসি।চট্টগ্রাম আলীগ.নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ কয়েকজন ছাড়া আ.লীগের কাউকে দেখা যায়নি।

ঘটনার পর থেকে নগর জুড়ে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।এতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা এখন অনেকটাই প্রকাশ্যে। একইসঙ্গে ১৬টি সংসদীয় আসনের কোথাও হেভিওয়েট সংসদ সদস্য ও তাদের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে চট্টগ্রাম উত্তপ্ত

এই আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়ার পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, নতুন ব্রিজ এলাকায় হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের মোকাবিলার ঘোষণা দেয়া হলেও নেতাকর্মীদের খুব একটা মাঠে দেখা যায়নি।চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে এমপি হয়েছেন ৭ জন।এছাড়া অন্যান্য অনেক আসনে প্রভাবশালী সংসদ সদস্য থাকলেও মাঠে কারো উপস্থিতি ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসে। অনেক এমপি নিজ এলাকায় না থেকে দেশের বাইরে ছিলেন বলেও জানা গেছে।

এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিভেদ ছিল চোখে পড়ার মতো। সাংগঠনিক ব্যর্থতা, সংসদ সদস্যদের নিজ এলাকায় না থেকে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা, আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি বুঝতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

চট্টগ্রাম মহানগরের ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘লন্ডন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও দুবাইয়ে ঘন ঘন যায়, সেখানে তাদের (সংসদ সদস্যরা) কাজটা কী? পুরো আন্দোলন বুঝতেই ভুল ছিল, আর সেখানে দল সংযুক্ত না হওয়ায় পরিণতি খারাপ হয়েছে।

এদিকে সাংগঠনিক ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, অনেকে এ ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেননি। আর এটি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সেখানে ছাত্রদের সংশ্লিষ্টতা প্রাধান্য পেয়েছে। এখানে মূল সংগঠনের সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া বা বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করার ক্ষেত্রে দলের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না।উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরএস