যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদ থেকে নিখোঁজের ২ দিন পর হাবিবুর রহমান মোল্যা (২৮) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিভাগদি গ্রাামের বালুর মাঠ সংলগ্ন ভৈরব নদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার মধ্যপুর গ্রামের রেজাউল মোল্যার বড় ছেলে। সে কাঠমিস্ত্রির পিড়া ব্যালনের কাজ করতো। হাবিবুর রহমানের দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী তামান্না আক্তার তিলকা জানান, আমার স্বামী গত রোববার বিকালে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। তবে সন্ধার পর থেকে মোবাইলে কল ঢুকলেও রিসিভ হচ্ছিল না। বিভিন্ন যায়গায় খুঁজে না পেয়ে সোমবার রাতে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। নদিতে ভাটির সময় একটি লাশ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে অভয়নগর থানা পুলিশ হাত পা বাধা অবস্থায় অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। দুইদিন আগেই তাকে হত্যা করে তার দুই হাত ও দুই পায়ে বালুর বস্তা বেঁধে নদিতে ফেলে দেওয়া হয়। নিহত হাবিবুর রহমানের নামে অভয়নগর থানায় ৩টি মাদক মামলা রয়েছে। হাবিবুর রহমানের বাবা রেজাউল ইসলাম ঘটনার সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান জানান, মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে।
নওয়াপাড়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, ভৈরব নদ থেকে উপুড় হয়ে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পেটের ডান পাশে কোপের চিহ্ন রয়েছে এবং সেখান থেকে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আছে। লাশের চারদিকে নাইলনের দড়ি প্যাঁচানো এবং দুই হাত ও দুই পায়ে একটি করে বালুর বস্তা বাঁধা ছিল। তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে অভয়নগর থানায় নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পায় যে ভৈরব নদে একটি মরদেহ ভেসে আছে। এরপর নৌ-পুলিশের এস আই লিয়াকত হোসেনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাবিবুর রহমান নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
আরএস