তথ্য চাওয়ায় অফিসে ডেকে নিয়ে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত

গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৪, ০৪:২১ পিএম

পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ও শেখ হাসিনা সড়ক থেকে ইব্রাহীমপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত অধিগ্রহণকৃত ঘরবাড়িসহ স্থাপনার নিলাম সংক্রান্ত তথ্য চাওয়ায় শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিসে ডেকে নিয়ে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছে ওই অফিসের দুই কর্মচারীসহ স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার।

বিষয়টি নিয়ে থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

বুধবার শরীয়তপুরের পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লাঞ্চনার শিকার সাংবাদিক জুয়েল রানা বলেন, অফিস সহায়ক গোলাম মাওলা তথ্য দিবেন বলে আমাকে অন্য একটি রুমের সামনে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে জোরপূর্বক বসিয়ে রাখে। এরপর গোলাম মাওলা, সালমা, সরোয়ার, রাব্বিসহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত অফিস সহায়কের কক্ষে ঢুকে সাইফ রুদাদকে লাঞ্ছিত করে আমাদের দুইজনকেই প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সড়ক বিভাগ থেকে বের করে দেয়। ঘটনার প্রমাণাধি সড়ক বিভাগের সিসি ক্যামেরা চেক করলেই পাওয়া যাবে। এঘটনায় সাইফ রুদাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাইফ রুদাদ বলেন, জুয়েল রানার অনুরোধে সড়ক বিভাগে গিয়েছিলাম। অফিস সহায়ক গোলাম মাওলা তথ্য দিবেন বলে জুয়েল রানাকে অন্যত্র ডেকে নিয়ে যায়। এসময় আমি অফিস সহায়কের কক্ষে বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করেই অফিস সহায়ক গোলাম মাওলা, কম্পিউটার অপারেটর সালমা আক্তার, ঠিকাদার সরোয়ার, রাব্বিসহ বেশ কয়েকজন আমার ওপর চড়াও হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কক্ষ থেকে বের দেয়। আমি বারবার বলার চেষ্টা করছিলাম, আমি জুয়েল রানা নই, কিন্তু তারা আমার কোনো কথাই শোনেনি। আমি এঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার সহকর্মী জুয়েল রানাসহ আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। আমি এঘটনার বিচার দাবি করছি।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সড়ক বিভাগ শরীয়তপুরের অফিস থেকে তথ্য চাওয়ায় কর্মচারী ও ঠিকাদার মিলে সাংবাদিককে হুমকি-ধামকি দিয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে এক সাংবাদিক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আদালত থেকে জিডি তদন্তের আদেশ পাওয়া মাত্রই আমরা তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, অফিসের মধ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর একটি ঘটনা ঘটেছে। আমি অফিসে ছিলাম না। ঠিকাদার সরোয়ারকে সড়ক বিভাগে আসতে নিষেধ করেছি। সালমাকে সতর্ক করে দিয়েছি। ওই সাংবাদিককে আজকের মধ্যে তথ্য দিয়ে দেব।

ইএইচ