নীলফামারী সদরের চড়াইখোলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও রিকশাচালক বুলু মিয়া (৩৬) হত্যার ৪৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন ও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চড়াইখোলা মুন্সিপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে বুলুকে পরিকল্পিতভাবে সদ্য ধান রোপনকৃত একটি জমিতে কাঁদার মধ্যে উল্টো করে মুখ থুবড়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার সহযোগী বন্ধুরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ ইসলাম স্বাধীন (৩০) চড়াইখোলা তেলীপাড়া এলাকার খায়রুল ইসলামের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন জানান, গত ২৭ জুলাই রাতে আসামি সোহাগ ও তার সহযোগীরা একজন কলগার্ল (যৌনকর্মী) ভাড়া করে স্থানীয় মরাপোড়াডাঙ্গা শ্বশ্মানের পশ্চিম পার্শ্ব নিয়ে গিয়ে নিহত বুলু মিয়াসহ সকলেই শারীরিক মেলামেশা করে। এর মধ্যে এক আসামি বুলু মিয়াকে সেক্সুয়াল ওষুধ খাওয়ালে অস্বাভাবিক ও চেতনা হারানোর মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। অসুস্থ বুলুকে সুস্থ করালে পরবর্তীতে আসামিদের বিরুদ্ধে তাকে অসুস্থ করার প্রতিশোধ নেওয়ার আশঙ্কায় পরিকল্পিতভাবে তাকে শ্মশানের পার্শ্বে একটি সদ্য রোপনকৃত ধানের জমিতে নিয়ে গিয়ে কাঁদার মধ্যে উল্টো করে মুখ থুবড়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা।`
এসপি মোকবুল হোসেন বলেন, ঘটনার ৪৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ এবং আসামি স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সাথে ওই কলগার্লের জবানবন্দির সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সালে চড়াইখোলা চৌধুরী পাড়ায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি স্বাধীন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নীলফামারী সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর পিপিএম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা।
ইএইচ