লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তবে তাৎক্ষণিক কারো নাম পরিচয় জানা যায়নি। আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে শহরের তমিজ মার্কেট এলাকার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান টিপুর বাসার সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানায়, শহরের চকবাজার জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ্ উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বাজার সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা জয়বাংলা স্লোগান দিতে থাকে। একই সময় নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লীদের নিজ নিজ গন্তব্যে সরে যেতে আহ্বান করা হয়।
এ সময় শহরের বিভিন্ন দোকান ও গলিমুখে আন্দোলনকারীদের বিক্ষিপ্ত অবস্থান নিতে দেখা গেছে। যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাদেরকেও সরে যেতে অনুরোধ করে। একপর্যায়ে পুলিশের অনুরোধে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরাও সরে গিয়ে তমিজ মার্কেট এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনে অবস্থান নেয়।
এদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিল শেষেই কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীরা বাজার ব্রিজ থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়। মিছিলটি চকবাজার মসজিদের সামনে গিয়ে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে দিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার সামনে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে। এতে পুলিশের বাঁধা ভেঙে লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় উভয়পক্ষে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়।
এ ঘটনায় আন্দোলনকারী ও যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ উভয়পক্ষের অন্ততপক্ষে ১০ জন আহত হন।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থান নেয়। এ ঘটনার পর শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এবি ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, লক্ষ্মীপুর এতদিন শান্ত ছিল। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ছিল। হঠাৎ জুমার নামাজের পর দুপক্ষের মারমুখী অবস্থানের কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ইএইচ