লালমনিরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছে। রোববার জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ইউএনওসহ কয়েকজন কর্মকর্তা অবরুদ্ধ করে রাখে বৈষম্য বিরোধীরা। সদর উপজেলায় পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজারে মিছিল বের করে। এ সময় তারা কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অফিস ভাঙচুর করেন।
উপজেলা পরিষদের ভিতরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমামসহ অনেক কর্মকর্তা অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। বিক্ষোভকারীরা উপজেলা পরিষদের সিসি ক্যামেরা গুলো খুলে নিয়ে যায়। এ সময় লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
সদর উপজেলার মিশন মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময়। পুলিশকে দেখলে চড়া হলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে টিআরসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। পরে ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে পুলিশ পিছু হটে। এ সময় সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত হয়েছে।
জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, ভুল্লারহাট, তুষভান্ডার, আদিতমারী ও সদরে মিছিলসহ সড়ক অবরোধ করেছে। এ সময় পুলিশকে দেখা যায়নি।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে পুলিশ। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইএইচ