১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পুলিশের বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির ডাকা কর্মবিরতির অংশ হিসেবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কর্মবিরতি পালন করেছে অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে মির্জাপুর থানা প্রাঙ্গণে দাবি আদায়ে ও কর্মবিরতির সমর্থনে এই কর্মসূচি পালন করে শতাধিক পুলিশ সদস্যরা।
জানা যায়, সিভিল পোশাকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর-নাগরপুর) সার্কেল এস.এম মনসূর মূসা, মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (অতিরিক্ত) সালাউদ্দিন আহমেদ, গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আদিল খান, দেওহাটা ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন, বাঁশতৈল ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর, থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক যথাক্রমে জহিরুল ইসলাম, সোহেল মিয়া, ফজলু, হাবিব, সরোয়ার, মাহাবুব, মোকলেছ, শফিউল, আনোয়ারসহ এএসআই লেভেলের সদস্যরা কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া ১১ দফা দাবির মধ্যে আছে- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত পুলিশ সদস্যদের হত্যার বিচার, বাংলাদেশ পুলিশ কোনো সরকার বা রাজনৈতিক দলের অধীনে কাজ করবে না, তারা নিরপেক্ষ থাকবে। পুলিশ ৮ ঘণ্টার বেশি দায়িত্ব পালন করবে না। পুলিশ সদস্যরা কোনো মৌখিক আদেশ পালন করবে না। পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতো নীতি অনুসরণ করতে হবে। পুলিশের বার্ষিক ছুটি ২০ দিন থেকে ৬০ দিনে উন্নীত করাসহ বেশ কিছু দাবি জানানো হয়।
এদিকে থানার প্রধান গেইট বন্ধ থাকায় অনেক বিদেশ যাত্রী পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য এসে কাউকে না পেয়ে ফেরত চলে যাচ্ছেন।
দুই বিদেশযাত্রীর সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হলে তারা বলেন, বিদেশে যাওয়ার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন শুধু পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের অপেক্ষা। অনেকেই আবার থানায় অভিযোগ ও জিডি করতে পারছেন না। এতে করে বিপাকে পড়েছেন থানাতে আসা সেবা প্রত্যাশীরা।
ইএইচ