সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে: দুলু

নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দল আওয়ামী লীগের সব অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ পুরো দলের সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে নিরীহ ছাত্রদের গণহারে হত্যা করে। এ সময় সাধারণ মানুষসহ অসংখ্য শিশুদেরও হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগের এমন কর্মকাণ্ডকে ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করে আওয়ামী লীগ সংগঠনকে আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

তিনি বলেন, প্রথম স্বাধীনতার জন্য যদি জামায়াতকেকে নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও একটা যুদ্ধ। এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। এই দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধে অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগকেও অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হোক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ঐতিহ্যবাহী কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড জেলা বিএনপির আয়োজনে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির উপদেষ্টা রুহুল কুদুস তালুকদার দুলু বলেন, গত সাড়ে ১৬ বছর নাটোরের মানুষ কথা বলতে পারেনি। নাটোরের সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়েছে। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিয়ে পালিয়ে গেল। ভোটারবিহীন সন্ত্রাসীদের হাসিনা এমপি বানিয়ে ছিল, তাদেরকেও বিপদে রেখে গেছেন।

দুলু বলেন, ১৫ বছর ধরে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে রেখেছে। আমি টাকা তুলতে পারি না, খরচ করতে পারি না। আমার নাটোরের মানুষ আমাকে চাল পাঠায়, মাছ পাঠায়, সবজি পাঠায় তা দিয়ে আমার চলে। আমি শেষ করতে পারি না। আর তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লুট করা টাকা, চাকরি দেওয়ার নামে মেথরের টাকা, শিক্ষক নিয়োগের টাকা, সাব রেজিস্ট্রার অফিসের চাঁদা তুলে তা দিয়ে বিদেশে বাড়ি কিনে। আমি বাবার জমিতে এমপি থাকা সময় সামান্য তিনতলার একটি বাড়ি বানিয়েছি।

দুলু আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত দেশের স্বাভাবিক অবস্থা না ফিরবে আপনারা নেতাকর্মী মাঠে থাকবেন। নাটোরের কোনো মানুষের ওপর যেন নির্যাতন, অন্যায়, তাদের বাড়িঘর লুটপাট না হয় সেজন্য সজাগ থাকবেন। আমার নেতাকর্মীরা আপনারা হিন্দু ভাইদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য তাদের পাশে থাকবেন।

নাটোর জেলা বিএনপি অনুষ্ঠিত জনসভায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বচ্চু’র সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ছবি।

এছাড়াও বক্তব্য দেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাটোরের সমন্বয়ক জনি।

জনসভায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সংসদ সদস্য কাজী গোলাম মোর্শেদ, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র এমদাদুল হক আল মামুন, নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ রনি, যুবদলের সভাপতি এহাই তালুকদার ডালিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলামসহ বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ইএইচ