কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম

কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ভুয়া সমন্বয়কদের বিষয়ে অবহিত করা ও সন্ত্রাস, লুটপাট এবং সহিংসতা বন্ধের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছে মূল আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, দেশে দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জিত হয়। ছাত্র-জনতা দেশ গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় ও সিনিয়র সমন্বয়কদের পরামর্শ ও দাবির প্রেক্ষিতে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে,একটি স্বার্থান্বেষী মহল কুড়িগ্রামের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস লুটপাট এবং সহিংসতা ঘটাতে থাকে যার সাথে কুড়িগ্রামের আন্দোলনকারী কোনো ছাত্রের সংশ্লিষ্টতা নেই। তবুও দুষ্কৃতিকারীরা আমাদের মতো আন্দোলনকারী পরিচয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোটা আন্দোলনকারীর সমন্বয়ক পরিচয়ে নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। একইভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন এই আন্দোলনের মূল সংগঠক হিসেবে দাবি করছে এবং তাদের কেউ কেউ নিজেদের জেলার মূল সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করে অপপ্রচার চালাচ্ছে যা মোটেও কাম্য নয়।

এ সময় তারা জেলার সমন্বয়কারী হিসেবে ৪১ জনের নাম প্রকাশ করে। তাদের দাবি আন্দোলনের শুরু থেকে যারা জড়িত ছিল তাদের নামের তালিকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ কেন্দ্রীয় মূল ৬ জন সমন্বয়কের কাছেও রয়েছে। তাই এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় বিভ্রান্ত না ছড়ানো আহ্বান জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কুড়িগ্রামের কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অন্যতম সংগঠক লাইলাতুল ইসলাম রুমান।

বক্তব্যে বলেন, অন্যান্য জেলার মতো কুড়িগ্রাম জেলায় আন্দোলনকারী ছাত্রদের মধ্যে সমন্বয়ক হিসেবে আমরা ক’জন তালিকাভুক্ত করি। সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আমাদের সমন্বয়কারীদের নেতৃত্বে কোটাবিরোধী সে আন্দোলন বেগবান হতে থাকে। এক পর্যায়ে স্বৈরাচারী সরকার দেশের ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। রাষ্ট্র ক্ষমতা সশস্ত্র বাহিনীর হাতে চলে যায় ও অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। দেশের কোনো সম্পদের কোনো ধরনের ক্ষতি হোক তা আমরা চাই না, কোনো রাজনৈতিক দলের ফায়দা লুটে নেবার হাতিয়ার হতে চাই না। সন্ত্রাস, লুটপাট এবং সহিংসতা বন্ধ হোক। আমাদের শান্ত কুড়িগ্রামে শান্তি ফিরে আসুক। সারা দেশে শান্তি ফিরে আসুক। অন্যদিকে যারা ভুয়া সমন্বয়ক হিসেবে নিজেদের পক্ষে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য আহ্বান করছি। কোনো ধরনের ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া থেকে তাদের বিরত থাকার অনুরোধ করছি।সবাই দেশের জন্য কাজ করেছি, করে যাবো ইনশাল্লাহ। এ বিষয়ে আমাদের কুড়িগ্রামের সমন্বয়কদের একটি নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

ইএইচ