নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা ৪ রোহিঙ্গা যাত্রীর লাশ ছাড়াও ট্রলারে থাকা ২৩ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করেছে হাতিয়ার কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ট্রলারটি চট্টগ্রাম ফিশারি ঘাট থেকে চাল ডাল সহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে হাতিয়ার ভাসান চরে আসছিল।
ডুবে যাওয়া ট্রলারটির চালক মো. হুমায়ন জানায়, সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রামে ফিশারি ঘাট থেকে মালামাল ও কয়েকজন যাত্রী নিয়ে হাতিয়ার ভাসানচরের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে। মেঘনা নদীতে হাতিয়ার সীমানায় হঠাৎ করে ১১টার দিকে ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে এবং দ্রুত ডুবে যায় এসময় যাত্রীরা চিৎকার করতে থাকে এবং পানিতে সাঁতার কেটে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা চালায়, তিনি নিজেও নদীতে ভাসতে থাকেন।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর জানান, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মাত্র ৮ নটিক্যাল দক্ষিণে মেঘনা নদীতে আনুমানিক ১১টার দিকে ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে, ট্রলারে মালামাল ছাড়াও প্রায় ২০জন যাত্রী ছিল। খবর পেয়ে নদীতে থাকা নৌকাগুলো যাত্রীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে এবং পরে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড দ্রুত ঘটনারস্থলে এসে ১৫ যাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এছাড়া ৩ শিশু সহ ১ মহিলার লাশ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। মৃত সকলে হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
নিহতরা হলেন, ভাসান চরের ৮৫নং ক্লাষ্টারের দিল মোহাম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম (৪৫), ৮৪ নং ক্লাষ্টারের মোহাম্মদ আবদুল্যাহর ছেলে আবদুল কাদের (৪), ৮০ নং ক্লাস্টারের মোহাম্মদ জাহারের ছেলে আজিজুল হক (৫), ৮ নং ক্লাস্টারের মোহাম্মদ রশিদের মেয়ে আসমিদা বেগম (৪) ৮০ নং ক্লাস্টারের মোহাম্মদ জাহারের ছেলে আজিজুল হক (৫)।
উদ্ধারকৃত লাশগুলো ভাসানচর থানায় রাখা হয়েছে।
ইএইচ