রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রফিকুল নামের এক কয়েদির লাঠি আঘাতে বাহারুল বাদশা নামের এক আরেক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েদিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে কারারক্ষীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুড়েন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারাগারে যান এবং কয়েদিদের সঙ্গে কথা বলে তাদপর শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুপুর সোয়া ১টার দিকে বলেন, আজ সকাল সোয়া ৮টার পর কারাগারের ভেতরে গাছ থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রফিকুল ও বাহারুল নামের দুই কয়েদির মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। বিবাদের একপর্যায়ে রফিকুল বাহারুলকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কারাগারের নার্স এসে বাহারুলের শরীরের পালস পাচ্ছিলেন না। তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরে ও বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় শাহজাহান ও মোতালেব নামের দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইএইচ