যশোরের অভয়নগর উপজেলা

ভাঙচুর-লুটপাটে নওয়াপাড়া পৌরসভার ক্ষতি ১৭ লাখ টাকা

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৪, ০৬:০২ পিএম

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া পৌরসভায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। দরজা-জানালা, আসবাবপত্র, অ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেল, বিভিন্ন যানবাহন, কম্পিউটার, সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী লুটের অভিযোগ উঠেছে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।

সব মিলিয়ে প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার (৫ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর গত কয়েকদিন ধরে সেবাদান কার্যক্রম শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে পৌর মেয়র ও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর আত্মগোপনে থাকায় সেবাবঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসী।

নওয়াপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ৫ আগস্ট সোমবার সাধারণ ছুটি থাকায় পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া পৌরভবনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন না। এদিন বিকাল ৪টার দিকে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে নওয়াপাড়া বাজারে চলছিল আনন্দ মিছিল। মিছিলেন মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একদল দুর্বৃত্ত প্রথমে দেয়াল টোপকে পৌরসভার ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা পৌরভবনের কয়েকটি লোহার গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে প্রথম ও দ্বিতীয় তলার বিভিন্ন কক্ষের দরজা-জানালা, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, সিসিটিভি ক্যামেরা ও ডিভিআর মেশিন ভাঙচুর করে এবং গুরুত্বপূর্ণ মালামালসহ একটি ল্যাপটপ ও ২টি মনিটর লুট করে নিয়ে যায়।

এরপর আরেক দল দুর্বৃত্ত পৌরভবনের পেছনে থাকা ৬টি মোরসাইকেল, একটি অ্যাম্বুলেন্স, ময়লা বহনের ৩টি ট্রাক, ৩টি এসি, ২টি এসকেভেটর, ১টি ফেলুটারসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে অগ্নিসংযোগ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয় তারা।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার দিন নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত কর্মীরা জানান, ভাঙচুর ও লুটপাটের দিন যারা পৌরসভার ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছিল তারা সকলে অচেনা। ঘণ্টাব্যাপী ভাঙচুর শেষে ল্যাপটপ, মনিটরসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মালামাল লুট করে স্লোগান দিতে দিতে বেরিয়ে যায় তারা।

এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীম হোসাইন বলেন, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, ডিসি অফিস, মন্ত্রণালয়কে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতির বিবরণ পাঠানো হয়েছে। তবে কাগজপত্র নষ্ট হয়নি। সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে পৌরবাসী সেবা নিতে আসছেন। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।  

ইএইচ