জামালপুরের মেলান্দহে বিয়ের দাবিতে মো. মিন্টু মিয়া (৩৫) নামে এক আনসার সদস্যের বাড়িতে মোছা. ফরিদা (৩০) নামে এক নারী অনশনে বসেছে। পালিয়ে গেছে মিন্টুর পরিবারের লোকজন। এতে মিন্টুকে না পেয়ে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন তিনি।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে মিন্টু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়-বাড়ির সামনে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে রয়েছেন ওই নারী।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ দুইদিন থেকে উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের টুপকারচর এলাকায় মিন্টু মিয়ার বাড়িতে আমরণ অনশন শুরু করেন ওই নারী।
আনসার সদস্য মো. মিন্টু মিয়া উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের টুপকারচর গ্রামের মনোহর আলীর ছেলে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
ওই নারীর নাম মোছা. ফরিদা (৩০)। তিনি উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বাগবাড়ী ডাক্তারবাড়ী এলাকার মো. জাফর আলী পাগুর মেয়ে।
শনিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিন্টু মিয়া বাড়ির সামনে মাটিতে অজ্ঞান হারিয়ে পড়ে রয়েছেন ওই নারী । চারপাশে লোকজন দাঁড়িয়ে থেকে দেখছেন। মিন্টু`র পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, মিন্টু মিয়ার সাথে প্রায় ৮ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে দেখা করার কথা বলে কৌশলে ডেকে নিয়ে রৌমারী বিলে নৌকার মধ্যে রাত্রি যাপন করে। গত বুধবার বিয়ের কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যান আনসার সদস্য মিন্টু মিয়া। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে বিয়ের কাবিনের খরচে জন্য ২০ হাজার টাকা নেন। এসময় মিন্টু খাবার কিনতে যাওয়ার কথা বলে ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতালে রাত্রে যাপন করি। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মিন্টুর বাড়িতে এসেছি। সাড়া রাত ঘরের বাহিরে থাকতে হয়েছে। সকালে মারধর করে বাড়ির গেটের সামনে ফেলে রেখে চলে যান। বাড়ি থেকে মিন্টুর পরিবারের লোকজন সবাই পালিয়ে গেছে। বিয়ের দাবিতে এসেছি বিয়ে ছাড়া এই বাড়ি থেকে যাব না।
স্থানীয়রা বলছেন, গতকাল সন্ধ্যায় ওই নারী মিন্টুর বাড়িতে অবস্থান শুরু করেন। সারা রাত ঘরের সামনে বসে ছিল ওই নারী। সকালে মিন্টু মিয়ার পরিবারের লোকজন মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যান। ওই নারী প্রায় তিন-চার ঘন্টা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। মিন্টু মিয়া আগে বিয়ে করেছিল সেই বউ চলে গিয়েছে। এবং যে মেয়েটি এখন বিয়ের দাবিতে এসেছে এই নারীরও বিয়ে হয়েছিল। তারা দুইজনেই একসাথে পড়াশোনা করতে আগে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিন্টু মিয়ার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মদ বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগতভাবে ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিআরইউ