‘শেখ হাসিনা জনতার ভয়ে পালিয়েছে, ফিরে আসার সম্ভবনা নেই’

নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শাহজাহান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, যারা জনতার ভয়ে পালিয়েছে, তারা দেশে আর ফিরে আসার আর সম্ভবনা নেই। আসলেও আসামি হিসেবে আসতে হবে। যদি সাহস করে আসে তাহলে বিচারের রায়ে ফাঁসিরকাষ্টে ঝুলতে হবে।

সোমবার দুপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনতার শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছে। এই শক্তি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেবে না। অনেক লোককে হত্যা করে, অনেক মায়ের কোল খালি করে, অনেক বোনকে বিধবা করে, গায়ের জোর দেখিয়ে অনেক দিন ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকতে পারে নাই।  

আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ, দেশ ধ্বংসকারী, চোর ডাকাতদের সর্দার, একটা পার্লামেন্ট নিয়ে বিরাট দল হয়েছিল। তারা ক্ষমতায় ছিল, আজকে তারা ক্ষমতাই নেই? এ দেশের ছাত্র, জনতা, মেহনতি মানুষ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে তাদের ক্ষমতা থেকে বিদায় করেছে। ওনারা পালাতে জানেন না, পালাবেন না। কিন্তু এখন বাস্তবতা কি। জনতার ভয়ে পালিয়েছেন। এই দলের নেতা, এমপিরা জনতার ভয়ে দেশ ত্যাগ করে। সেই দল এই দেশে মাথা তুলে দাঁড়ানোর আর কোন সুযোগ নেই।

তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের ব্যক্তিগত ঝামেলা, জায়গা-জমির ঝামেলা এই রাজনীতির ওপর চাপিয়ে দিবেন না। আপনাদের যদি এ রকম সমস্যা থাকে তাহলে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এর দায় দায়িত্ব কিন্তু দল গ্রহণ করবে না।

এ সময় তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ধৈর্য ধারণ করে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরবে বলেও মন্তব্য করেন।

জেলা স্বেচ্ছাবেক দলের সভাপতি সাবের আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর আলম, শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাসের, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু প্রমুখ।

ইএইচ