বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে নিহত পেকুয়ার কলেজছাত্র ওয়াসিম হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ১০৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে আরও একটি মামলা হয়েছে।
সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা।
এর আগে, গত রোববার রাতে পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা এলাকার প্রবাসী শফিউল আলমের স্ত্রী ও নিহত ওয়াসিমের মা জোসনা বেগম।
এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, চট্টগ্রামের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক সিটি মেয়র ও চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিন, সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, চকরিয়া পেকুয়ার সাবেক সংসদ জাফর আলম, পেকুয়া উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বারেক, টইটং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম, রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, মগনামা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমসহ পেকুয়া ও চকরিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ইউপি চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া নাম রয়েছে যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের ১৪ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ১০৮ জনের নাম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই ওয়াসিম আকরাম ছাত্র জনতার সমাবেশে অংশ নিতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকার বারকোড রেস্তোরাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ‘ইন্ধনে’ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সমাবেশে হামলা চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন ওয়াসিম। মৃত্যুর পর ওয়াসিম আকরামকে নিজেদের কর্মী দাবি করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। নিহত ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন এবং চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র।
ইএইচ