হাতিয়ার মানচিত্র গিলে খাচ্ছে নদী, ভাঙ্গনরোধে কাজ করেনি কর্তৃপক্ষ

হাতিয়া (নোয়াখালী )প্রতিনিধি: প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
ছবি: আমার সংবাদ

হাতিয়ার মানচিত্র গিলে খাচ্ছে নদী, ভাঙ্গনে কাজ করেনি কোন সরকার। ভাঙন রোধে কাজ করা অনেক বেশি দরকার। তা না হলে থাকবে না হাতিয়ার মানচিত্র।

নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত দীপ উপজেলা হাতিয়া, বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা একটি দ্বীপ যা মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত।

বছরের পর বছর ধরে মেঘনা নদীর করাল গ্রাসে ভাঙছে হাতিয়ার জনপদ। নদীগর্ভে নিজের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে অসহায় মানুষগুলো ছাড়ছে নিজ নিজ জন্মভূমি। প্রতিবছর মেঘনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে হাতিয়া উপজেলার হাজার হাজার হেক্টর জমি।

এই উপজেলা হাতিয়ার নদীভাঙন প্রতিরোধ করা গেলে এই দ্বীপ হবে বাংলাদেশের একটি সর্ববৃহৎ দ্বীপ। একসময় হাতিয়া হবে জেলা আর জেলা থেকে হবে বিভাগ। এছাড়াও হবে বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর পর্যটন নগরী। ২০২১ সালের শেষের দিকে হাতিয়ার জনগণের নিজ অর্থায়নে জিও ব্যাগ ফেলেন স্থানীয়রা। কিন্তু কো সরকার এগিয়ে আসেনি নদী ভাঙ্গনে।

হাতিয়াকে টেকসই করতে ব্লক নির্মাণ একান্ত  প্রয়োজন হলেও এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

প্রতিবছর নদীভাঙনের কারণে হাতিয়ার মানুষের প্রায় ৯০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। হাতিয়ায় ইউনিয়ন সংখ্যা ১১টি। ইতিপূর্বে তিনটি ইউনিয়ন মেঘনার গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বিলীনের পথে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল গুলো।

গত কয় বছরে হাতিয়া উপজেলার সুখচর ও নলচিরা নামে আরো দুটি ইউনিয়ন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

এমতাবস্থায় হাতিয়ার মানচিত্র অক্ষত রাখতে ব্লক নির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। তা না হলে শিগগিরই মেঘনা নদীর গর্ভে  হাতিয়ার অস্তিত্ব একেবারে বিলীন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সাড়ে সাত লাখ মানুষ। বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা, নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে নদী ভাঙ্গনরোধ, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মানুষ।

বিআরইউ