ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামে আওয়ামী লীগ সভাপতির সাঙ্গপাঙ্গরা এখন বিএনপি সেজে রাতারাতি সরকারি একটি রাস্তার ইট তুলে রাস্তার উপর ঘর নির্মাণ করায় একজন সাংবাদিকের দুই ভাইয়ের পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মহেশপুর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আবুল হোসেন লিটনের গ্রামের বাড়ি শ্যামকুড় টাঙ্গাইল পাড়ায় সরকারি হেরিং রাস্তার ইট তুলে সেই ইট দিয়েই রাস্তার উপর ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি রাস্তার অপরপ্রান্তে টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
গ্রামবাসীরা জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর শাহাজান আলী ও শরিফুল ইসলামের হুকুমে মাইলবাড়ীয়া গ্রামের মোস্তফার নেতৃত্বে সোহেল, রাশেদ, খোকনসহ ১০-১২ জন মিলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্বাস আলীর বাড়ির আঙ্গিনায় বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাস্তার ইট তুলে ফেলে। সেই ইট দিয়েই শরিফুল রাস্তার উপর পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করে এবং অপরপাশে শাহাজান আলী টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এদের ত্রাসের কারণে এখন টাঙ্গাইল পাড়া গ্রামের ৫টি পরিবার আতঙ্কে আছেন। সরকারি হেরিং রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াই সাংবাদিকের দুই ভাই আব্বাস ও সালামের পরিবারের লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
এলাকাবাসী আরও জানায়, দুর্বৃত্তদের অধিকাংশই এক দলীয় জাতীয় নির্বাচনে শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমান উল্লা হকের নির্দেশে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল আযম খানের পক্ষে ট্রাক প্রতীকে ভোট করেন তারা। সে সময় এলাকার অনেক সাধারণ মানুষকে ট্রাক প্রতীকে ভোট না দিলে কি হবেসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দেন তারা। দেশে বিদ্যমান অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন ব্যবস্থা নেওয়াও যাচ্ছে না।
সাংবাদিক লিটন জানান, বিষয়টি নেপা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আমিনুর মাস্টার, শ্যামকুড় ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শাহানুর আলম, মহেশপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মেহেদি হাসান রনি, সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের থানা আমির আব্দুল হাইকে জানানো হলেও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
ইএইচ