বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় নিহত হয় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের নাজমুল হাসান (২৫)।
দৈনিক আমার সংবাদের অনলাইন সংস্করনে খবর প্রকাশের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নাজমুল হাসানের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
নাজমুল হাসান রাজধানীর আশুলিয়ার বাইপাইলে একটি গার্মেন্টসের কর্মী ছিলেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একত্ব ঘোষণা করে চলাকালীন আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় সে মারা যান। ১০ আগস্ট তার নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন সম্পূর্ণ করা হয়।
শুক্রবার গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে নিহত নাজমুল হাসানের বাড়িতে খোঁজখবর নিতে ও আর্থিক সহযোগিতা করতে আসেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গাইবান্ধার জেলা আমির মো. আব্দুল করিম সরকার।
এ সময় উপজেলার থানা আমির এরশাদুল হক ইমন, থানা সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, থানা তারবিয়াত সেক্রেটারি এম এম শাফিউজ্জামান সুমন, থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, শাহজাহান, রোকন আনোয়ার হোসেন, আনছার আলী, এছাড়াও স্থানীয় দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশে মানবতার কল্যাণকামী সংগঠন হিসেবে বসে থাকতে পারে না, আমাদের দায়িত্ব আছে, এসব শহীদ ভাই-বোনদের পরিবারের জন্য। এই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আমরা শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। একই সাথে একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য সকলকে কাজ করার আহ্বান ও জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং কবর জিয়ারত করে তার মায়ের হাতে এক লাখ টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
ইএইচ