বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমানকে প্রধান আসামি করে সাত ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ৪৪৩ জনের বিরুদ্ধে একই ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোয়েব ইসলাম হেলাল ৫৫ জন এবং পৌর যুবদল সভাপতি জাকির হ্ওালাদার ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে বিএনপি’র দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ঘটনায় এ মামলা করা হয়।
দুইটি মামলার বাদী উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক সোয়েব ইসলাম হেলাল ও পৌর যুবদল সভাপতি জাকির হাওলাদার বলেন, বিএনপি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসানের নেতৃত্বে সাড়ে চার শতাধিক আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিকলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেছে এবং অফিসের মালামাল তছনছ করেছে। এ ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান বলেন, একই ঘটনায় দুইটি আলাদা মামলা হয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় মামলা মিথ্যা। নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানি করতেই এ মামলা দেয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, হয়রানি করতেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। ওই অফিস আমরা ভাঙচুর করিনি। উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ অফিস দখল করে নিয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, একই ঘটনায় দুইটি মামলায় ৯৩ জন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং ৩৫০ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ইএইচ