বগুড়ার সোনাতলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াছিয়া আক্তার রুনাসহ ৮৩ জনের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম বুলুর ছেলে শামীনুর ইসলাম শামীম বাদি হয়ে এই মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নির্দেশে উপজেলার সুজাইতপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহবুবুল আলম বুলুর ছেলে শামীনুর ইসলাম শামীমের উপজেলা দক্ষিণ গেটের পাশে দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শামীম বাদি হয়ে সাবেক এমপি সাহাদারা মান্নানসহ ৮৩জন অভিযুক্ত করে ২৩ আগস্টে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলা দায়ের করেন।
মামলা অভিযুক্তরা হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা সোনাতলায় সাহাদারা মান্নান, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াছিয়া আক্তার রুনা ও তার স্বামী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিস্টার, সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক, সোনাতলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর নিপুণ আনোয়ার কাজল, আগুনিয়া তাইড় এলাকার যুবলীগ নেতা আশরাফ আকন্দ, একই এলাকার ফুলু আকন্দের ছেলে মানিক আকন্দ, যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন জুয়েল, সোনাতলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন চন্দ্র ঘোষ, উত্তর দিঘলকান্দি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ওলিউর রহমান, দক্ষিণ আটকড়িয়ার আব্দুল মোমিন, উত্তর আটকড়িয়ার তারেক, কাবিলপুরের আলম বেপারী, শ্যামপুরের সোহেল মন্ডল, আচারের পাড়ার মিলন বেপারী, গড়ফতেপুর এলাকার আব্দুল কাদের, আগুনিয়াতাইড় এলাকার আলী আজম, দক্ষিণ আটকড়িয়ার শিহাবুর রহমান, কালাই হাঁটার শফিকুল ইসলাম, দাউদপুরের আব্দুল ওয়াহেদ, সুজাইতপুরের শামীম, মধ্য দিঘলকান্দির সিরাজুল ইসলাম, পাতিলাকুড়া গ্রামের আব্দুল কাফি, পূর্ব তেকানীর সাকা মন্ডল, উত্তর কালাই হাঁটার তিতুমীর হোসেন, কাবিলপুরের ঠান্ডা মিয়া`সহ ৮৩ জন।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি বাবু কুমার সাহা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, এ নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের বিরুদ্ধে সোনাতলা থানায় একটি হত্যা মামলাসহ দু`টি মামলা দায়ের করা হলো।
ইএইচ