রংপুরে ফল বিক্রেতাকে হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের নামে মামলার আবেদন

রংপুর ব্যুরো প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০২:৫০ পিএম

রংপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র- জনতা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ফল বিক্রেতা মিরাজুল ইসলাম নিহতের ঘটনায়  আরো একটি হত্যা মামলার আবেদন  করা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের নাম  উল্লেখ  করা হয়।

রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতয়ালী আমলী আদালতে এ হত্যা মামলা দায়েরের আবেদন  করেন নিহত মেরাজুল ইসলামের স্ত্রী নাজমিম ইসলাম। একই ঘটনায় গত ১৮ই আগস্ট নিহতের মা আম্বিয়া বেগম ছেলে হত্যার  বিচার দাবিতে  মামলা করায়  এই মামলাটি শুনানির জন্য আগামীকাল ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার শুনানির জন্য ধার্য  করেছেন আদালত।   এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম রকেট।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার উত্তম কুমার পাল, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, আরিফুজ্জামান আরিফ, জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান, আবু আশরাফ সিদ্দিক, নজরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক আতাউ ররহমান, আব্দুর রশিদ প্রমাণিকসহ জেলা পুলিশের ১৫০ পুলিশ সদস্য ও অজ্ঞাত আসামি রয়েছে।

এছাড়াও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, শাহাদৎ হোসেন, হারুন-অর-রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম তোতা, শাহাজাদা আরমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী তুহিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি লক্ষ্মীণ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, যুবলীগ নেতা মামুনুর রশীদ ওরফে নেংরা মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা নবী উল্লাহ পান্না, যুবলীগ কর্মী ডিজেল আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলকে আসামি করা হয়েছে ।

মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিল সিটি কর্পোরেশনের ফুট ওভার ব্রিজের কাছে আসে। এ সময় আসামিরা অস্ত্র-স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনীভাবে মিছিলে বাধা সৃষ্টি করে । এরপরেও মিছিলটি এগিয়ে যেতে থাকলে রংপুর পুলিশ সুপার সতর্ক না করে পুলিশের এপিসিতে উঠে গুলি ও ইটপাটকেল ছোড়ার নির্দেশ দেন। এ সময় আসামিরা তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ও ইটপাটকেল মারতে শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে মেরাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট মেরাজুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় তার মা আম্বিয়া বেগম বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ২১ জনের নাম উল্লেখ করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতয়ালী আমলী আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন

ইএইচ